সেতুর ডিভাইডার সেজেছে এ ভাবেই।— সুদীপ আচার্য
বাহারি আলোয় আগেই সেজেছিল বিদ্যাসাগর সেতু। এ বার তার গায়ে বাহারি গাছের নতুন সাজ! বন দফতরের দাবি— এই সাজ যেমন সৌন্দর্যায়নের, তেমনই উপকৃত হবেন সেতু দিয়ে যাওয়া গাড়ির চালক এবং সওয়ারিরাও।
বন দফতর সূত্রের খবর, এজেসি বসু রোডের পুলিশ ট্রেনিং স্কুল থেকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের মুখ পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার লম্বা রাস্তার ডিভাইডারে গাছ লাগানোর এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ডিভাইডারে পাত্র বসিয়ে মাটি ভরাট করে বসছে ফুল এবং পাতাবাহার গাছ। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে বন দফতর জানিয়েছে। কাজ বেশ কিছুটা এগিয়েও গিয়েছে। বিদ্যাসাগর সেতু ধরে গেলেই এখন চোখে পড়ছে ফাইকাস, ফক্সটেল পাম, ল্যান্টানার মতো গাছ।
রাস্তার দু’ধারে বড় গাছ লাগানোর প্রকল্প নতুন নয়। সেই গাছ যেমন ছায়া দেয়, তেমনই শুষে নেয় তাপ ও দূষণ। কিন্তু সেতুর উপরে গাছ বসানোর বিষয়টা অনেকটাই আলাদা। ফলে ডিভাইডারে বাহারি গাছ বসছে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে। বন দফতরের মুখ্য বনপাল (কনজারভেশন অ্যান্ড এক্সটেনশন) রাজু দাস জানান, সেতুর কংক্রিট যে তাপ বিকিরণ করে, তা অনেকটাই শুষে নেবে ডিভাইডারে বসানো এই গাছ। তা ছাড়া, অনেক সময়েই দু’টি বিপরীতমুখী লেনের গাড়ির হেডলাইট চালকদের চোখে পড়ে সমস্যা তৈরি করে। ডিভাইডারে গাছের ঝোপ থাকলে ওই আলো উল্টো দিকের গাড়িতে পড়বে না। ‘‘এ ছাড়া, গাছের সৌন্দর্য চালক ও যাত্রীদের মানসিক চাপও দূর করবে,’’ মন্তব্য মুখ্য বনপালের।
কলকাতার যানবাহন থেকে হওয়া বায়ুদূষণ নিয়ে বারবারই অভিযোগ করেছেন পরিবেশকর্মীরা। ডিভাইডারের গাছ সেই দূষণও শুষে নেবে বলে দাবি বনকর্তাদের। তাঁদেরই এক জন জানান, অযত্ন হলে সাধারণত বাহারি গাছ টেকে না। সে ক্ষেত্রে ডিভাইডারে গাছ বাঁচানো কঠিন। তাই বায়ুদূষণ সহ্য করার কথা মাথায় রেখেই এর জন্য ফক্সটেল পাম, হাইব্রিড প্রজাতির ল্যান্টানা, বোগেনভিলিয়া, টেকোমা প্রজাতির গাছ বাছাই করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy