বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেখিয়ে তিনি যাতায়াত করতেন উত্তর ২৪ পরগনার হরিদাসপুর সীমান্ত দিয়ে। তিনি আদতে বাংলাদেশিই। সেই পাসপোর্টে তাঁর নাম মহম্মদ মোশারফ হোসেন খান। বয়স ৩৫ বছর।
বারাসতেও তাঁর থাকার জায়গা রয়েছে। সীমান্ত টপকে সেই ডেরায় পৌঁছে বাংলাদেশি পাসপোর্টটি তুলে রেখে, ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে শ্রমিকের কাজ করতে যেতেন দুবাইয়ে। সেখানে তাঁর নাম ছিল তোহিন খান।
রবিবার এমিরেটসের উড়ানে দুবাই থেকে তিনি কলকাতায় নামার পরে সন্দেহ হয় অভিবাসন অফিসারদের। দীর্ঘ জেরায় দু’টি পাসপোর্ট রাখার কথা স্বীকার করেন মোশারফ। পুলিশ জানায়, ভারতীয় পাসপোর্টটি মোশারফ ছত্তীসগঢ় থেকে করিয়েছিলেন।
ওই দিনই গ্রেফতার করা হয়েছে আর এক বাংলাদেশি শেখ হুমায়ুনকে। তিনি শনিবার সন্ধ্যায় দুবাই থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। মোশারফের মতো তিনিও সেখানে শ্রমিকের কাজ করতেন। কলকাতায় নামার পরে তাঁকে দেখে সন্দেহ হলেও তিনি প্রথমে কিছুই স্বীকার করতে চাননি। যে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে তিনি এসেছিলেন, সেখানে নাম ছিল মহম্মদ হুমায়ুন। এই পাসপোর্টে রয়েছে বারাসতের ঠিকানা। মোশারফের মতো তাঁরও বারাসতে ডেরা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হুমায়ুন জানান, তিনি আদতে ভারতীয়, বারাসতেই তাঁর আসল বাড়ি।
একটানা প্রায় ২৪ ঘণ্টা জেরার মুখে রবিবার সন্ধ্যায় ভেঙে পড়েন হুমায়ুন। তাঁর নামে বাংলাদেশের ঢাকার বোর্ড অব ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশনের অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া যায় তাঁর হেফাজত থেকে। তবে তাঁর কাছ থেকে সোমবার পর্যন্ত কোনও বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy