আগামী আট থেকে দশ মাসের মধ্যে কলকাতাকে মুড়ে ফেলা হবে সিসিটিভি ক্যামেরায়। এত দিন অপরাধমূলক কাজকর্ম ধরা পড়ত এ ধরনের ক্যমেরায়। এখন থেকে ক্যামেরায় বন্দি হবে শহরের জঞ্জাল এবং জল জমার ছবিও।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঁথি মোড় থেকে দক্ষিণ কলকাতার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যতগুলি গুরুত্বপূর্ণ মোড় রয়েছে সর্বত্রই বসবে অত্যাধুনিক ওই ক্যামেরা। কলকাতা পুলিশ ও পুরসভার সদর দফতরে ক্যামেরায় তোলা ছবি মনিটরিং করার ব্যবস্থা থাকবে। ফলে জঞ্জাল জমার কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি তা দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করাও সম্ভব হবে। একই সঙ্গে বৃষ্টিতে শহরের কোথায় কতটা জল জমছে তাও দ্রুত জানা যাবে।
এ কাজের জন্য ‘রিলায়্যান্স জিও’-র ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।” কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘রিলায়্যান্স জিও’ শহর জুড়ে ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু করছে। তাঁদের পক্ষ থেকে এক প্রস্তাব আসে। সেখানে বলা হয়, সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে কলকাতার জন্য তারা এ কাজ করতে চায়। সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে পুর-প্রশাসন। মেয়র জানান, পুরভোটে তৃণমূলের ইস্তাহারে তা লিপিবদ্ধও করা হচ্ছে।
রিলায়্যান্স জিও জানিয়েছে, কলকাতা পুরসভা এবং কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই কয়েকটি জায়গায় নজরদারি ক্যামেরা বসিয়েছে। সরকারি কাজে সুবিধার জন্য ফোর-জি কেব্ল লাইনের মাধ্যমে এই ক্যামেরাগুলি বসানো হবে। সংস্থাটির দাবি, ২০১৫ সালের শেষ দিকে পুরো নেটওয়ার্ক চালু করে দিতে পারবে তারা।
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, “দিনে ও রাতে কলকাতায় বহু অপরাধমূলক কাজকর্ম ঘটে। তা ধরা পড়বে এই ক্যামেরায়। পাশাপাশি, শহরের কোথাও জঞ্জাল জমে আছে কি না, বর্ষায় কোথায় কতটা জল জমে থাকে তা জানাটাও পুর-প্রশাসনের কাছে জরুরি।”
আগামী দিনে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সবক’টি বাজার, মলের সামনে ছাড়াও জল জমার প্রবণতা যে সব এলাকায় বেশি সেখানে ওই অত্যাধুনিক ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানান মেয়র। তিনি আরও বলেন, “পুরভোটের পরেই এ ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু করা হবে। শহরবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে এই কর্মসূচি অত্যন্ত জরুরি ছিল।”
পুরভোটের আগে রিলায়্যান্সের এই প্রস্তাবে বাড়তি সুবিধা পেলেন কি? জবাবে মেয়র বলেন, ওঁরা আগেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ভোটের আগে তো হচ্ছে না। আগামী দিনে যে বোর্ড আসবে তাঁরাই এটি কার্যকর করতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy