Advertisement
E-Paper

ছবি তুলে ধৃত ভিন্ রাজ্যের তিন যুবক

মঙ্গলবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হলে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৫৭
Share
Save

ভিন্ রাজ্যের তিন যুবক এসে ঠাঁই গেড়েছিলেন দক্ষিণ শহরতলিতে। কিছু দিন পর থেকে না বলেই এলাকার বিভিন্ন মানুষের মুখের ছবি তুলতে শুরু করেন তাঁরা। যা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন স্থানীয় অনেকেই। এক মহিলার আপত্তিতে সোমবার শেঠপাড়া থেকে ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে বাঁশদ্রোণী থানা। ধৃতদের নাম সুনীল খোরাইজাম, সুরেশ জিশান, শাহিদ রেজা। প্রথম দু’জনের বাড়ি ইম্ফলে, তৃতীয় যুবক মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। তাঁদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হলে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছেন, চিনের একটি সংস্থার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য মানুষের মুখের ছবি তোলার বরাত পেয়েছিলেন তাঁরা। তবে ওই বরাতের জন্য ছবি তুলতে হলে পুলিশের যে অনুমতি প্রয়োজন হয়, তা ধৃতদের কাছে ছিল না বলে দাবি তদন্তকারীদের।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতদের থেকে বাজেয়াপ্ত পাঁচটি মোবাইলে অসংখ্য মানুষের ছবি রয়েছে। অ্যাপ তৈরির জন্য যে সংস্থা তাঁদের কাজে লাগিয়েছিল, তাদের সম্পর্কেও তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে। এত মানুষের ছবি জোগাড়ের সঙ্গে বিদেশি সংস্থার কী সম্পর্ক রয়েছে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লালবাজারের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফের গোয়েন্দারা মঙ্গলবার ধৃতদের জেরা করেন। এক কর্তার কথায়, এখনও পর্যন্ত বেআইনি ভাবে ছবি তোলা ছাড়া আপত্তিকর কিছু মেলেনি ধৃতদের কাছ থেকে।

প্রাথমিক তদন্তের পরে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা এর আগে পাটুলিতে ছবি তুলেছিলেন। সেখানেই অভিযোগকারিণী মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় তাঁদের। নিজেদের সঙ্গে ওই মহিলাকে কাজ করার জন্য বলেন তাঁরা। সোমবার কাজে এলে মহিলা দেখেন, বিভিন্ন মানুষের ছবি তোলা হচ্ছে। কেন তোলা হচ্ছে, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় খবর দেওয়া হয় পুলিশে।

Kolkata Police Picture China

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}