Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

অবৈধ নির্মাণে দায় এলাকার পুর ইঞ্জিনিয়ারেরও

মেয়র জানিয়েছেন, যাঁরা একতলা বা দোতলা বাড়িতে থাকেন এবং পরিবারের প্রয়োজনে একটি ঘর বা শৌচাগার তৈরি করতে চেয়ে আবেদন করেছেন, পুরসভায় এসে ১০০ টাকা জমা দিলেই তাঁরা অনুমোদন পেয়ে যাবেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০২:১১
Share: Save:

বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে জেনেও পুরসভার স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট বা সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে তাঁকে সাসপেন্ড করা হবে। মঙ্গলবার এই বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদ। ওই কড়া দাওয়াইয়ে রীতিমতো আতঙ্কে পুরসভার বিল্ডিং দফতরের কর্মীরা। এত কাল শহর জুড়ে বেআইনি নির্মাণের রমরমা বাড়লেও বিল্ডিং দফতরের কাউকে তার জন্য জবাবদিহি করতে হয়নি। এখন নতুন এই ফরমানে শহরে বেআইনি নির্মাণ কতটা আটকানো যাচ্ছে, সেটাই দেখার।

মেয়র জানিয়েছেন, যাঁরা একতলা বা দোতলা বাড়িতে থাকেন এবং পরিবারের প্রয়োজনে একটি ঘর বা শৌচাগার তৈরি করতে চেয়ে আবেদন করেছেন, পুরসভায় এসে ১০০ টাকা জমা দিলেই তাঁরা অনুমোদন পেয়ে যাবেন। কেউ বাধা দেবে না। কিন্তু বড় নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনও রকম অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।

মেয়রের কথায়, ‘‘বেআইনি নির্মাণের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জুনিয়র ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের। কোথাও নির্মাণকাজ শুরু হতে দেখলেই

প্রথমে নোটিস ধরাতে হবে বাড়ির মালিককে। তাতে কাজ না হলে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে হবে। আর গোটা বিষয়টির বিবরণ দিয়ে জানাতে হবে এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এবং ডিজি (বিল্ডিং)-কে। এই নির্দেশের কোনও একটি না মানা হলে ওই ইঞ্জিনিয়ারকে প্রথমেই সাসপেন্ড করা হবে। পরে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হবে, কেন সময়ে তিনি নিজের দায়িত্ব পালন করেননি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কলকাতা পুরসভা এলাকায় বেআইনি নির্মাণ টাকা দিয়ে বৈধ করার প্রথা বাম আমল থেকেই চলে আসছে। যার ফলে শহর জুড়ে বেড়ে চলেছে অবৈধ বাড়ি। সেই কাজে সব চেয়ে বেশি অভিযোগ ওঠে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এক শ্রেণির পুলিশকর্মী, পুর ইঞ্জিনিয়ার এবং রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজশেই বেআইনি নির্মাণের এই রমরমা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE