সোমবার ‘হেল্থ অফ দ্য নেশন’ (দেশের স্বাস্থ্য) রিপোর্টের পঞ্চম সংস্করণ প্রকাশ করল অ্যাপোলো হাসপাতাল। সেই রিপোর্টে বার্তা দেওয়া হল, ‘‘আর রোগেক লক্ষণের জন্য অপেক্ষা নয়, আগে থেকেই চিকিৎসা বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে এ বার।’’
অ্যাপোলো হাসপাতালে যাঁরা চিকিৎসা করাতে যান, তার সংখ্যা দেশ জুড়ে ২৫ লক্ষেরও বেশি। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যে তথ্য পাওয়া যায়, তার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে ওই রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে ‘নিঃশব্দ মহামারি’ (সাইলেন্ট এপিডেমিক)-র আভাস মিলেছে।
রিপোর্ট বলছে, শরীরে কোনও লক্ষণ নেই, অথচ লাখ লাখ মানুষ নানাবিধ সমস্যায় আক্রান্ত। অন্তত ২৬ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। আর ২৩ শতাংশ ডায়াবেটিকে আক্রান্ত। অথচ, তাঁদের শরীরে ওই সব রোগের কোনও লক্ষণই নেই। যার অর্থ, রোগের লক্ষণ ভিত্তিক স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর আর ভরসা করা উচিত হবে না। রিপোর্টে কয়েকটি স্বাস্থ্য-সমস্যার কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি লিভার সংক্রান্ত সমস্যা, ঋতুবন্ধ-পরবর্তী সময়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং বাচ্চাদের স্থূলতা সংক্রান্ত সমস্যা।
অ্যাপোলোর রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমবঙ্গে যাঁদের চিকিৎসা হয়, তাঁদের মধ্যে ৮৮ শতাংশের শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রয়েছে। প্রথম পর্যায়ের ফ্যাটি লিভার রয়েছে ৬৪ শতাংশের শরীরে। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ৩৩ শতাংশ।
অ্যাপোলো হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতাপ রেড্ডি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিলে পরিবার সুন্দর হয়। এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত, শরীরে রোগ জাঁকিয়ে বসার আগেই আমাদের সচেতন হয়ে চিকিৎসা করানো। এটা আমরা নিশ্চিত করতে পারলে একটা সুন্দর এবং স্বাস্থ্যবান প্রজন্ম তৈরি করতে পারব।’’
হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীতা রেড্ডিও বলেন, ‘‘অ্যাপোলো হাসপাতাল বরাবর মনে করে এসেছে যে, রোগের লক্ষণের জন্য বসে না থেকে আগে থেকেই রোগপরীক্ষা জরুরি। হেল্থ অফ দ্য নেশন রিপোর্ট সে কথাই বলছে।’’