সাইরিন নাজকে শুভেচ্ছা। বুধবার, ওয়াটগঞ্জ থানায়। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দিনেই ভুল কেন্দ্রে পৌঁছে দিশাহারা হয়ে গিয়েছিল ছাত্রীটি। বিষয়টি জেনে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা খিদিরপুর থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ গ্রিন করিডর করে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছে দেন মেয়েটিকে। বুধবার ফল প্রকাশের পরে ওই ছাত্রীর হাতে উপহার তুলে দিলেন সেই ‘পুলিশ কাকু’রা। এ দিন বিকেলে বাবার সঙ্গে ওয়াটগঞ্জ থানায় গিয়ে পুলিশ কাকুদের ধন্যবাদ জানায় খিদিরপুর সেন্ট জর্জ হাইস্কুলের ছাত্রী সাইরিন নাজ। সেখানেই থানার তরফে তার হাতে পেন ও মিষ্টি তুলে দেন সাব-ইনস্পেক্টর তথাগত সাধু। তিনিই পুলিশের মোটরবাইকে করে সাইরিনকে বেলেঘাটার পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তার সাফল্যে তাই খুশি তথাগতবাবুও।
পুলিশ সূত্রের খবর, ১২ মার্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিন ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা সাইরিন বেলেঘাটার পরীক্ষা কেন্দ্রের বদলে পৌঁছে গিয়েছিল ওয়াটগঞ্জ থানার মোহন চাঁদ রোডে, বঙ্কিম ঘোষ মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলে। সেখানে গিয়ে সে জানতে পারে, ভুল কেন্দ্রে চলে এসেছে। স্কুলের বাইরে সাইরিনকে কাঁদতে দেখে এগিয়ে আসেন ওয়াটগঞ্জ থানার ওসি অমিত বিশ্বাস। তিনি দ্রুত মোটরবাইকের ব্যবস্থা করে তথাগতবাবুকে বলেন, মেয়েটিকে ঠিক কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে। গ্রিন করিডর করে সাইরিনের বাবা আতাউর রহমানকে নিয়ে বেলেঘাটার রামমোহন বিদ্যামন্দির গার্লস হাইস্কুলে ছাত্রীকে পৌঁছে দেন ওই অফিসার।
পাশের খবর জেনে স্বভাবতই খুশি সাইরিন। রোজার মধ্যেই বন্ধুদের সঙ্গে দুপুরে সে বেরিয়ে পড়েছে কেনাকাটা করতে। তার আগেই অবশ্য পুলিশকাকুদের জানিয়েছে পাশ করার খবর। জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চায়। পাশাপাশি কথা দিয়েছে, আর কোনও দিন পরীক্ষা কেন্দ্র ভুল হবে না। আতাউর জানান, পুলিশের এই সহায়তা তিনি কোনও দিন ভুলবেন না। তারা পাশে না দাঁড়ালে মেয়ের যে পরীক্ষা দেওয়া হত না, সে কথাও জানাতে ভোলেননি আতাউর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy