দীপ্তির বাড়ির সামনে ভিড় প্রতিবেশীদের। সোমবার — নিজস্ব চিত্র।
জীবনযাত্রার পরিবর্তনটা নজরে পড়ছিল বছর দুয়েক ধরেই। রবিবার বিকেলে কলকাতা পুলিশের জালে পাড়ার মেয়ে ধরা পড়ার পরে ‘দুয়ে-দুয়ে চার’ করেছেন পড়শিরা।
শহর ও শহরতলির একাধিক ডাকাতিতে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করে দীপ্তি ওরফে রিয়াকে। ধরা পড়ে তার স্বামী রহিম আলি ওরফে লালচাঁদ ওরফে রেহানও। তবে বনগাঁর দেবগড় মাঠপাড়ার বছর উনিশের মেয়েটিকে স্থানীয়েরা চেনেন সমাপ্তি নামে। পাল্টে যাওয়া ‘লাইফস্টাইল’-এর কারণেই ডাকাতির অভিযোগে দীপ্তির ধরা পড়া তেমন বিস্মিত করেনি প্রতিবেশীদের।
সোমবার দীপ্তির বাড়িতে যেতেই জড়ো হন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিছু যে ঘটেছে, বৃহস্পতিবার থেকে আঁচ করছিলেন তাঁরা। স্থানীেয়রা বলেন, ‘‘ওই রাতে দীপ্তির বাবা জয় ওরফে বিমল বিশ্বাসকে নিয়ে যায় পুলিশ। বলে, মেয়েকে পেলে তাঁকে ছাড়া হবে।’’ টিভিতে স্থানীয়েরা জানতে পারেন, ডাকাতির অভিযোগে ধরা পড়েছে দীপ্তি।
স্থানীয়েরা জানান, আগে ভ্যান চালাতেন দীপ্তির বাবা। অভাবের সংসার। ৫ বোন, ১ ভাইয়ের মধ্যে দীপ্তি ছোট। তিন বোন হোটেলে নাচ করত। বছর দুয়েক হল তাঁদের বাড়ি ঝাঁ-চকচকে। শুরু হয়েছে দুর্গাপুজোও। স্থানীয় এক ব্যক্তির কথায়, ‘‘মেয়েদের টাকাতেই ওরা ফুলেফেঁপে উঠছে। ওর বাবা আর ভাই এখন দামি বাইক চালিয়ে ঘোরে।’’
বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি দীপ্তি। তবে ডাকাতিতে তার জড়িত থাকার কথা মানতে নারাজ পরিবার। তার এক দিদি জানান, দশম শ্রেণির পরে পড়া ছেড়ে দেয় দীপ্তি। পরে গান শেখে। পরিবার জানিয়েছে, কিছু দিন আগে সে কলকাতার এক হোটেলে গান গাইত। দীপ্তির এক দিদির কথায়, ‘‘ওকে ফাঁসানো হয়েছে।’’
পাড়ার লোকেদের অবশ্য অবাক করেছে দীপ্তির সঙ্গে লালচাঁদের বিয়ের খবরও। তাঁদের দাবি, লালচাঁদ মাঝেমধ্যেই ওদের বাড়িতে আসত। তবে ওদের বিয়ে হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy