হাওড়া যাবেন বলে মৌলালি থেকে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ বাসে চেপেছিলেন লিলুয়ার বাসিন্দা কৌস্তুভ পাল। অন্য দিন যেখানে হাওড়া পৌঁছতে মেরেকেটে সময় লাগে চল্লিশ মিনিট, সেখানে সোমবার কৌস্তুভবাবুর লেগেছে দেড় ঘণ্টারও বেশি। সৌজন্যে কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল।
লালবাজার সূত্রের খবর, ওই মিছিল ছাড়াও এ দিন পার্শ্ব শিক্ষক সংগঠনের তরফে হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে মিছিল করে প্রায় ৫০০ শিক্ষক রানি রাসমণি অ্যাভনিউয়ে জড়ো হন। ওই রাস্তার একাংশ বন্ধ করে বিকেল পর্যন্ত চলে সভা। এর পাশাপাশি বন্ধ ছিল ক্যাথিড্রাল রোডের একাংশ। সব মিলিয়ে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই চূড়ান্ত নাকাল হলেন অফিস-যাত্রীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ‘জমি, জীবিকা ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি’র উদ্যোগে প্রায় চার হাজার মানুষের মিছিল বেরোয় কলেজ স্কোয়্যার থেকে। এর জেরে কলেজ স্ট্রিট, সূর্য সেন স্ট্রিট, নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট, এস এন ব্যানার্জি রোড ও লেনিন সরণিতে ব্যাপক যানজট হয়। পরের দিকে এস এন ব্যানার্জি রোড বন্ধ থাকায় মৌলালি থেকে ধর্মতলাগামী সব বাসকে এজেসি বসু রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। কলেজ স্ট্রিট থেকে বেরোনো মিছিল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ধর্মতলা পৌঁছলে ডোরিনা ক্রসিং প্রায় আধ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। ফলে, দক্ষিণ এবং উত্তর কলকাতাগামী সব গাড়ি ধর্মতলা মোড়ে দীর্ঘক্ষণ
আটকে থাকে।
যানজট হয় জওহরলাল নেহরু রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ও রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়েও। চরম ভোগান্তিতে পড়েন অফিস ফেরত মানুষজন। অন্য দিকে, রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে রবীন্দ্র জয়ন্তী উদ্যাপনের জন্য ক্যাথিড্রাল রোডে মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। তার জন্য সকাল থেকে বন্ধ ছিল ওই রাস্তার একাংশ। ফলে এক্সাইড মো়ড় ও রবীন্দ্র সদন লাগোয়া বিভিন্ন রাস্তায় যানজট আরও তীব্র হয়। পার্ক স্ট্রিট, মেয়ো রোডে গাড়ির চাপ বেশি থাকায় ওই সব রাস্তায় গাড়ির গতিও ছিল খুব শ্লথ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy