স্মরণ: আর জি কর হাসপাতাল চত্বরে নির্যাতিতার মূর্তির সামনে সুবিচারের দাবি। শনিবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
হাসপাতালের চার দিকে তখন সন্ধ্যার আলো জ্বলে উঠেছে। প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবনের সামনে মোমবাতির শিখায় উজ্জ্বল ‘ক্রাই অব দ্য আওয়ার’ মূর্তি। সেটির সামনের বাঁধানো চত্বরে কমলা ও হলুদ গাঁদা ফুল সাজিয়ে লেখা হয়েছে, ‘অবিচারের একশো দিন, আর কত দিন বিচারহীন?’
শনিবার সন্ধ্যায় এমন ভাবেই নিজেদের মনের প্রশ্ন তুলে ধরলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক ও সেখানকার রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা। গত ৯ অগস্ট চিকিৎসক-ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ১০০ দিন পূর্ণ হল শনিবার। কেন এত দিন পরেও ন্যায় বিচার মিলছে না, সেই প্রশ্ন এ দিন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তুলে ধরলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। ধর্মতলার অনশন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে বিভিন্ন সময়েই জুনিয়র চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, ন্যায় বিচার চাওয়ার আন্দোলন থেকে কোনও ভাবেই তাঁরা সরে আসবেন না। বরং বিভিন্ন ভাবে তা আরও জোরদার করা হবে।
তাই, ১০০ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও বিচার না মেলার প্রতিবাদে আজ, রবিবার রাতে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে সমাবেশের ডাক দিয়েছে জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। তার আগে এ দিন আর জি করের চিকিৎসকেরা সকাল থেকে বুকে লাগালেন কালো ব্যাজ। সন্ধ্যায় জরুরি বিভাগের সামনে আন্দোলন মঞ্চে নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তির সামনে চলল মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা। আবার, প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবনের কাছে আবক্ষ প্রতীকী মূর্তির সামনে শ্রদ্ধা জানিয়ে চলল কবিতা পাঠ, গান। শেষে সেখান থেকে মোমবাতি মিছিল করে জরুরি বিভাগের অবস্থান মঞ্চের সামনে পর্যন্ত মিছিল করলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। জানালেন, ‘‘নির্যাতিতার জন্য সুবিচার না মেলা পর্যন্ত এমনই বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের মনে আন্দোলনকে জাগিয়ে রাখা হবে।’’ অন্য দিকে, আর জি করের বক্ষরোগ বিভাগটি নির্যাতিতার নামে করার জন্য এ দিন কলেজ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেন ফ্রন্টের বিরোধী বলে পরিচিত জুনিয়র চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy