ভুয়ো সংস্থা খুলে সেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিনিয়োগ করানোর নাম করে প্রতারণার অভিযোগে এ বার দু’জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গত শনিবার হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেন সিআইডি-র সাইবার থানার গোয়েন্দারা। সিআইডি জানিয়েছে, ধৃতদের নাম হরিশ সোলাঙ্কি এবং প্রবীণ কুমার। তাদের ট্রানজ়িট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে এসে সোমবার চন্দননগর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১২ মার্চ পর্যন্ত গোয়েন্দা হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এই মামলায় এর আগে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা প্রধান-সহ ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
প্রাথমিক তদন্তের পরে সিআইডি জানিয়েছে, ধৃতদের কাজ ছিল ভুয়ো নথি তৈরি করে তা দিয়ে ভুয়ো সংস্থা খোলা। পাশাপাশি, বিনিয়োগের টাকা যে সব ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তুলে নেওয়া হত, সেগুলিরও নথি তৈরি করে দিত তারা। এক তদন্তকারী জানান, ওই দু’জন কতগুলি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা ভুয়ো সংস্থা খুলেছিল, তা জানতে তাদের জেরা করা হচ্ছে। বেশ কিছু নথি তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
গোয়েন্দারা জানান, ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে চন্দননগরের এক বাসিন্দা থানায় অভিযোগ করেন, সমাজমাধ্যমে একটি গ্রুপে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল কয়েক জনের। তারা তাঁকে বিনিয়োগের প্রলোভন দেখায়। তাঁকে বলা হয়েছিল, বিনিয়োগ করলে তিনি মোটা টাকা ফেরত পাবেন। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, অভিযুক্তেরা বলেছিল, তারাও লাভবান হয়েছে। যা শুনে অভিযোগকারী ব্যক্তি কয়েক দফায় ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে প্রায় ৪৩ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন ভুয়ো সংস্থায়। পরে তিনি বুঝতে পারেন যে, প্রতারিত হয়েছেন। এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
সিআইডি জানায়, অভিযুক্তেরা সমাজমাধ্যম ব্যবহার করে একই কায়দায় বহু কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ। কয়েকশো জনকে তারা প্রতারিত করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত গোয়েন্দারা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)