Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বিজন সেতুর পথে বিপদ

কসবা থেকে বাসে বিজন সেতু পেরোচ্ছিলেন রাজডাঙার শৈলেন রায়। বিজন সেতুর মাঝামাঝি আসতেই বাসটা আচমকা লাফিয়ে ওঠে। তাতেই কোমরে আঘাত পেয়ে আপাতত চিকিৎসাধীন শৈলেনবাবু।

বিপজ্জনক: উঠে আছে সেই লোহার পাত। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

বিপজ্জনক: উঠে আছে সেই লোহার পাত। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

কৌশিক ঘোষ
শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৭ ০০:৩২
Share: Save:

কসবা থেকে বাসে বিজন সেতু পেরোচ্ছিলেন রাজডাঙার শৈলেন রায়। বিজন সেতুর মাঝামাঝি আসতেই বাসটা আচমকা লাফিয়ে ওঠে। তাতেই কোমরে আঘাত পেয়ে আপাতত চিকিৎসাধীন শৈলেনবাবু।

এই সেতু দিয়ে যাতায়াতের সময়ে এমন ঘটনা এখন প্রায়ই ঘটছে। দিন পনেরো আগে কলকাতা পুরসভার গোচরে আসে বিষয়টি। জানানো হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষকেও।

বিজন সেতুর উপরের এক অংশে ধাতব পাত বা ‘এক্সপ্যানশন জয়েন্ট’-এর লোহার পাত উঠে এসেছে। পুর আধিকারিকেরা সেতু পরিদর্শন করে জানান, ওই ‘এক্সপ্যানশন জয়েন্ট’-এর আচ্ছাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এই ধাতব অংশের উপরে চাকা পড়লেই লাফিয়ে উঠছে গাড়ি। তবে এর জন্য সেতু ভেঙে পড়ার আশঙ্কা নেই বলেও জানায় পুরসভা।

পুরসভার এক বাস্তুকার জানান, প্রযুক্তিগত কারণেই কোনও সেতুর উপরে কংক্রিট ও ইস্পাতের দু’টি প্লেটের মধ্যে ধাতব পাত বা ‘এক্সপ্যানশন জয়েন্ট’ বসানো হয়। অনেক সময়ে তাপমাত্রা বাড়লে কোনও প্লেট বেড়ে গিয়ে পরস্পরের মধ্যে ধাক্কা লেগে সেতুর ক্ষতি হয়। ‘এক্সপ্যানশন জয়েন্ট’ বসানো থাকলে সেই সমস্যা হয় না। বিজন সেতুতে কোনও ভাবে সেই পাত উঠে এসেছে।

পুর কর্তৃপক্ষ জানান, সেতুর যে অংশে এই সমস্যা, সেটি মেরামতি করার কথা রেলের। ওই অংশের নীচে রেললাইন থাকায় বহু বৈদ্যুতিক তার আছে। পরিকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সমস্যা এড়াতেই রেলের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই মেরামতি সম্ভব নয়।

পূর্ব রেলের মুখপাত্র জানান, তাঁদের তরফে পরিদর্শন শীঘ্রই হবে। প্রয়োজনে পুরসভা ও কেআইটির সঙ্গেও আলোচনা হবে। সব দিক দেখে কাজ করতে একটু সময় লাগে বলেও জানান তিনি।

৫৫০ মিটারের এই সেতু আটের দশকে তৈরি করে কেআইটি। সেতুর রাস্তা-পরিকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ করে পুরসভা ও কেআইটি। রেললাইনের উপরে সেতুর মাঝখানে ‘এক্সপ্যানশন জয়েন্ট’ বদলাতে গেলে তা রেলকেই করতে হবে বলে জানায় কেআইটি।

অন্য বিষয়গুলি:

Bijan Setu Distress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE