ই-রিকশা। ফাইল চিত্র
বাইপাসের ধারের একটি গলিতে ডিউটি করছিলেন ট্র্যাফিক পুলিশের এক অফিসার। তাঁর সামনে দিয়েই যাত্রী নিয়ে চলে গেল মোটরচালিত তিন চাকার ই-রিকশা।
মেন রোডে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল ই-রিকশা। আটক করতেই এক কাউন্সিলর ফোন করেন ট্র্যাফিক আধিকারিককে। দাবি, ছেড়ে দিতে হবে ওই ই-রিকশাটিকে।
ঘটনা দু’টি যথাক্রমে কলকাতার পূর্ব এবং দক্ষিণ শহরতলির। এই ধরনের রিকশা চলাচলের খবর আসার পরে নড়েচড়ে বসেছে লালবাজার। সূত্রের খবর, এই ই-রিকশার নাম করে টোটো, ভ্যানো কিংবা তিন চাকার ব্যাটারি চালিত রিকশা যাতে চলতে না পারে, তার জন্য ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে সতর্ক করেছেন কলকাতা পুলিশের কর্তারা। কারণ, কলকাতা পুলিশ এলাকায় এগুলির চলাচল বৈধ নয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, চলতি মাসেই লালবাজারের তরফে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ডের কাছে তাদের এলাকার কোথায় কোথায় ই-রিকশা চলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা-ও জানাতে বলা হয় ওই নির্দেশে।
রাজ্যের নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় পরিবহণ দফতর ই-রিকশা চলাচলের অনুমতি দিলেও কলকাতা পুলিশ এলাকায় তা বেআইনি। কিন্তু এর তোয়াক্কা না করেই ঠাকুরপুকুর, বাইপাস, পূর্ব যাদবপুর, রিজেন্ট পার্ক, কুঁদঘাট, হরিদেবপুর এবং গড়িয়ার অলিগলিতে ই-রিকশা চলাচলের খবর লালবাজারের কর্তাদের কানে এসেছে। এর পরেই আসরে নামেন পুলিশ কর্তারা। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘কোন ভাবেই শহরের রাজপথে ধীর গতির ওই যান চালাতে দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি পাড়ার ভিতরে গলিতে ই-রিকশা চললেও ব্যবস্থা নিতে হবে।’’
তবে পুলিশের দাবি, ব্যাটারিচালিত হওয়ায় ই-রিকশা পরিবেশবান্ধব। কিন্তু মাঝেমধ্যে এত দ্রুত এই ই-রিকশা চলে যে, উল্টে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
লালবাজার একাংশের দাবি, শহরতলিতে ই-রিকশা চলার পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক মদত। টোটোর অনুমতি না মেলায় কেউ কেউ ওই ব্যাটারি চালিত ই-রিকশা চালানোর চেষ্টা করছেন। লালবাজারের এক কর্তা জানান, কিছু দিন আগে এক রাজনৈতিক নেতা বেহালার দিকে ই-রিকশা চালানোর চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশের কানে যেতেই রণে ভঙ্গ দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy