পোষ্যের কানে সংক্রমণ হলে কী করবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
বৃষ্টির দিনে চোখ-কানের সংক্রমণে ভোগে অনেক কুকুরই। বিশেষ করে কানের সংক্রমণ অনেক ক্ষেত্রেই খুব বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই শুরু থেকেই তার চিকিৎসা হওয়া জরুরি।
পোষা কুকুরের কানে সংক্রমণ হচ্ছে তা বোঝার অনেক উপায় আছে। এই বিষয়ে পশু চিকিৎসক সবুজ রায় জানাচ্ছেন, কুকুরের কানের চারপাশে চামড়ায় লালচে র্যাশ হবে। কান থেকে পুঁজ বা রক্ত বার হতে পারে। সাদা অথবা সবুজ আঠালো তরল বার হলে সাবধান হতে হবে। প্রচণ্ড দুর্গন্ধ হবে কানে। চুলকানি হতে থাকবে। পোষ্য যদি ক্রমাগত একদিকে মাথা ঝাঁকাতে থাকে, তা হলে বোঝা যাবে কানে সংক্রমণ হচ্ছে।
বাড়িতে কী করবেন?
কানের সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। যদি ঘন ঘন কান থেকে পুঁজ বা রক্ত বার হতে থাকে, তা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
কুকুরের কান থেকে আঠালো তরল বার হলে পরিষ্কার সুতির কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। ইয়ার বাড বা ধাতুর কিছু কানে ঢোকাবেন না।
পোষ্য বার বার কানে নখ দিয়ে চুলকানোর চেষ্টা করবে। তাই আগে পোষ্যের নখ কেটে দিতে হবে। না হলে কেটে বা ছড়ে গিয়ে সংক্রমণ বাড়তে পারে।
চিকিৎসকের থেকে জেনে নিয়ে ‘ইয়ার ক্লিনার’ কিনে নিন। কুকুরের জন্য বিশেষ রকম কান পরিষ্কারের ওষুধ পাওয়া যায়। তুলোয় ভিজিয়ে টানা ৫ দিন পোষ্যের কান পরিষ্কার করে দিতে হবে। তার পরেও যদি সংক্রমণ থাকে, তা হলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া জরুরি।
কানের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাসে অন্তত ২-৩ বার পোষ্যের কান পরিষ্কার করে দিতে হবে। প্রয়োজনে কানের ড্রপ দিতে হবে।
মাসে অন্তত এক বার পশু চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চেকআপ করিয়ে নেওয়াও জরুরি।
এমন কোনও মলম লাগাবেন না যাতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড আছে। এই রাসায়নিক জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে।
আপনার ব্যবহারের কোনও ব্যথানাশক মলম বা স্প্রে অথবা কানের ড্রপ ভুলেও পোষ্য কুকুরকে দেবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy