Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
কাশীপুর

তৃণমূলের জয়ে খুশি পুলিশ

গণনা কেন্দ্র থেকে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বেরোতেই করজোড়ে সামনে এসে দাঁড়ালেন কাশীপুর থানার ওসি দেবাশিস চক্রবর্তী। প্রার্থীকে বললেন, ‘‘বলেছিলাম জিতবেন। জিতেছেন। আমি খুশি।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৫৫
Share: Save:

গণনা কেন্দ্র থেকে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বেরোতেই করজোড়ে সামনে এসে দাঁড়ালেন কাশীপুর থানার ওসি দেবাশিস চক্রবর্তী। প্রার্থীকে বললেন, ‘‘বলেছিলাম জিতবেন। জিতেছেন। আমি খুশি।’’

এই হল সেই কাশীপুর, পুরভোটে যে এলাকা তৃণমূলেরই আনোয়ার খান ও স্বপন চক্রবর্তীর লড়াই ঘিরে বারবার উত্তপ্ত হয়েছিল। সেই ১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী সীতা জয়সোয়ারা।

ভোটের দিন থেকে অবশ্য দেখা মেলেনি স্বপনবাবুর। তাঁর মোবাইলও বন্ধ। আর আনোয়ার কার্যত পুলিশের নজরদারিতে। এই অবস্থায় কাশীপুরে ভোটের ফলে নির্দল প্রার্থী জয়নাল আবেদিন সে ভাবে দাগ কাটতে পারলেন না। বরং লড়াই দিল বিজেপি।

তৃণমূল কর্মীরা অবশ্য স্বপনবাবুকেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ বলে দাবি করেছেন। আর জয়ী প্রার্থী সীতাদেবী বলেন, ‘‘উনি ভাল মানুষ। গরিবের পাশে থাকেন। তাই ওঁনার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে।’’

তবে তৃণমূলের জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই রবীন্দ্রভারতীর সামনে দলীয় কর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। উল্টো দিকে কাশীপুরে ফের গোলমালের আশঙ্কা ছড়ায়। স্থানীয়দের কথায়, ফের গোলমাল বাড়বে, তখন পুলিশ থাকবে না।

১ নম্বর ওয়ার্ডের পাশাপাশি ২ নম্বরে শাসক দলের পুষ্পালি সিংহ ১২ হাজার, ৩ নম্বরে শান্তনু সেন ১৪ হাজার, ৪ নম্বরে গৌতম হালদার সাড়ে ১৪ হাজার ভোটে জিতেছেন। কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সুমন সিংহের। ওই এলাকায় বিজেপি গত লোকসভায় ৯ হাজারেরও বেশি ভোটে জেতে। এ বার অবশ্য ১৩৭৪ ভোটের ব্যবধানে জয় ধরে রাখল তৃণমূল।

গণনা কেন্দ্রের বাইরে শাসক দলের ভিড় দেখে রবীন্দ্রভারতীর মধ্যেই বেশ কিছু সময় বসে ছিলেন বিরোধী দলের প্রার্থী থেকে এজেন্টরা। শেষে পুলিশের সহায়তায় গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা। বিরোধীদের দেখে শাসক দলের কেউ কেউ অবশ্য তেড়ে যান, তবে সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সামলে নেন তৃণমূলের নেতারা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE