উদ্ধার হওয়া চোরাই এসইউভি। ছবি: নিজস্ব চিত্র।
শহরের গাড়ি চুরি চক্রের সঙ্গে মিলল মণিপুরের আন্তর্জাতিক গাড়ি-মোটরবাইক চুরি চক্রের সরাসরি যোগাযোগ। রাজারহাটে ফ্ল্যাট ভাড়া করে ঘাঁটি গেড়েছিল মণিপুরের কুখ্যাত গাড়ি চোর। সঙ্গে কলকাতার অন্যতম ‘ওয়ান্টেড’ মোটরবাইক চোর।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজারহাট থানার পুলিশ বুধবার রাজারহাটের হসপিটাল রোডের একটি বহুতলে হানা দেয়। সেখান থেকেই পাকড়াও করা হয় রাজারহাট থানা এলাকার গলাসিয়ার বাসিন্দা আজিজুল রহমানকে। কলকাতা পুলিশের খাতায় আজিজুলের পরিচিতি কুখ্যাত মোটরবাইক চোর হিসাবে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এর আগে বেশ কয়েক বার গ্রেফতারও করেছিল আজিজুলকে।
ওই ফ্ল্যাটেই আজিজুলের সঙ্গে ধরা পড়ে মণিপুরের থৌবল জেলার বাসিন্দা আলতাফ হোসেন। ধৃতদের জেরা করে হদিশ মেলে একটি দামী এসইউভি, যার বাজারদর কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকা। সঙ্গে পাওয়া যায় দু’টি মোটরসাইকেলও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এসইউভি-টিতে অসমের রেজিস্ট্রেশন নম্বর। সেখান থেকেই চুরি করা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বাইকগুলি কোথা থেকে চুরি গিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রাজারহাটের সেই ফ্ল্যাট যেখানে ঘাঁটি গেড়েছিল মণিপুরের কুখ্যাত গাড়ি চোর। ছবি: নিজস্ব চিত্র।
তবে পুলিশের চিন্তা বাড়িয়েছে আজিজুলের সঙ্গে মণিপুরের আলতাফের যোগ। এক তদন্তকারী বলেন, ‘‘আগে এখান থেকে চুরি যাওয়া মোটরবাইক এবং গাড়ি দালাল মারফৎ পৌঁছত মণিপুর এবং নাগাল্যান্ডে। সেখান থেকে অনেক সময়েই চোরাই গাড়ি যেত মায়ানমারে। তবে সরাসরি কখনও উত্তর-পূর্বের কোনও চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ পাইনি।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আলতাফ মায়ানমারের গাড়ি পাচারের সঙ্গেও যুক্ত। জেরায় আজিজুল জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশের একটি মামলায় জেলবন্দি থাকাকালীন এক সহবন্দির মারফৎ তার যোগাযোগ হয় মণিপুরের আলতাফের সঙ্গে। ধৃতদের হেফাজত থেকে একটি কম্পিউটার, জাল ইঞ্জিন নম্বর, স্মার্ট কার্ড তৈরির যন্ত্র, ফাঁকা স্মার্ট কার্ড পাওয়া গিয়েছে। জেরায় আজিজুল জানিয়েছে, হাড়োয়ার রফিক নামে এক ব্যক্তি এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তাকে পাকড়াও করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy