অঞ্জন দত্তের জন্মদিনে পার্নো মিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
অঞ্জন দত্তের মধ্যে অনেক ভাল-মন্দের সমাহার। অবশ্যই ভালর ভাগ বেশি। আমি একা নই, এ কথা ওঁর সঙ্গে যাঁরা মিশেছেন তাঁরাও বলবেন। ওঁর সঙ্গে যখন প্রথম মেলামেশা, তখন আমি মাত্র ১৬! দু’জনেরই বয়সের বিরাট ব্যবধান। তখন মানুষ চেনার মতো বয়স নয়। মেশার সময় তাই অত খুঁটিয়ে চেনার চেষ্টাও করিনি। কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করেছি, অঞ্জনদা সকলের সঙ্গে সমান ভাবে মিশতে পারেন। কী সত্তর, কী ষোল, কী মাঝবয়সি— অঞ্জন দত্ত সকলের সঙ্গে ‘কুল অ্যান্ড ক্যাজ়ুয়াল’।
অঞ্জনদার প্রচুর অভিজ্ঞতা, প্রগাঢ় মেধা। সেই কারণেই কি চট করে সকলের সঙ্গে মিশতে পারেন?
একেবারেই না। কোথাও গিয়ে অঞ্জনদা খুবই জলবৎ তরলং। তার জন্যই ওঁর সঙ্গে যে কোনও মানুষের সময় কাটাতে ভাল লাগে। পরিচালক-অভিনেতা-গায়ক— এক মানুষের একাধিক সত্তা। তার উপরে খামখেয়ালি, মেজাজি, এলোমেলো। আমার সঙ্গে এখন তাঁর ন’মাসে ছ’মাসে কথা হয়। তার পরেও যে দিন ফোন করেন, সে দিন এক বারও মনে হয় না, কত দিন পরে কথা হল! সম্প্রতি অঞ্জনদা সপরিবার বাড়িতে বসে প্রতিম ডি গুপ্তর ‘সাহেব বিবি গোলাম’ ছবিটি দেখলেন। দেখেই আমায় ফোন, “কী দুরন্ত অভিনয় করেছিস রে! আমি, ছেলে, বৌমা— সবাই মিলে বসে আবার দেখলাম।” এই-ই হচ্ছেন অঞ্জন দত্ত। ওঁর মধ্যে একটা ব্যাপার আছে। যেটা ওঁকেই মানায়। তাই অঞ্জনদার সাত খুন মাফ।
আরও অনেক গুণ আছে ওঁর। অঞ্জনদার গান ভাল লাগে। আর ভাল লাগে ওঁর প্রতিভা খুঁজে বের করার ক্ষমতা। যত জন ওঁর হাত থেকে বেরিয়েছেন, প্রত্যেকেই বিনোদন দুনিয়ায় চর্চিত নাম। যেমন, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, আবীর চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়— ওঁর ছবি দিয়ে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেছেন। যেটা সচরাচর অনেক পরিচালকের মধ্যে দেখা যায় না। এই জন্যই আমার কাছে পরিচালক অঞ্জন দত্ত এগিয়ে। অনেক দিন ওঁর সঙ্গে কাজ করিনি। আবারও অঞ্জনদার সঙ্গে কাজ করতে মন চায়। ওঁকে ঘিরে একটাই আফসোস, যে মাপের অভিনেতা তাতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বেশি কাজ করার কথা ছিল ওঁর। কেন হল না, কে জানে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy