ধৃত অরুণ দাস। নিজস্ব চিত্র
দিল্লির কিডনি পাচার চক্রের যোগসূত্র মিলল হাওড়ায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লি পুলিশের সাইবার ব্রাঞ্চ ও হাওড়া সিটি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে উত্তর হাওড়ার মালিপাঁচঘরা থানা এলাকার ঘুসুড়ি রোড থেকে গ্রেফতার করল এক যুবককে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম অরুণ দাস। বছর ৩৭-এর ওই যুবকের বাড়ি নস্করপাড়া লেনে। দিল্লি পুলিশের দাবি, ওই যুবক কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। ধৃতের বিরুদ্ধে ৩০-৪০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কিডনি পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,
গোপন সূত্রে একটি কিডনি পাচার চক্রের খবর পেয়ে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ দিন সাতেক আগে পাতিয়ালা এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে একটি বাড়ি থেকে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের মধ্যে এক জন কিডনিদাতাও ছিলেন। সেই কিডনিদাতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, তাঁর সঙ্গে যোগোযোগ করেছিলেন অরুণ দাস নামে এক ব্যক্তি। এর পরে দিল্লি পুলিশের
ক্রাইম ব্রাঞ্চ অরুণের মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান দেখে জানতে পারে ওই যুবক রয়েছেন হাওড়ায়। বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের একটি দল এসে হাওড়া সিটি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মালিপাঁচঘরা থানার সঙ্গে যৌথ ভাবে ওই যুবকের বাড়িতে হানা দিয়ে ধরা হয় তাঁকে।
এ দিকে পাড়ায় ভদ্র ও পরোপকারি বলে পরিচিত ওই যুবক যে কিডনি পাচার চক্রে সঙ্গে জড়িত, তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না নস্কর পাড়ার বাসিন্দারা। এ দিন ধৃত
যুবকের প্রতিবেশী সুজিত মণ্ডল বলেন, ‘‘ও পরের বিপদে রক্ত আনতে ছুটত। মানুষকে টাকা দিয়ে সাহায্য করত। এই সব কাজে ও যুক্ত থাকতেই পারে না।’’
একই বক্তব্য ধৃত যুবকের জামাইবাবু বাসু ঘোষের। তিনি বলেন, ‘‘গত দু’বছর হল ও দিল্লিতে ছিল। বাবা মারা যাওয়ায় বাড়ি ফিরে আসে। ওর মতো ভদ্র, ভাল ছেলে এ সব করতেই পারে না।’’
এ দিকে, এ দিন সরকারি আইনজীবী তারাগতি ঘটক
বলেন, ‘‘ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩০-৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে কিডনি বিক্রির অভিযোগ আছে। আদালত ধৃতকে তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে পাতিয়ালা আদালতে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy