কলকাতা পুরসভা— ফাইল চিত্র।
জমি নিয়ে বিতর্ক থাকায় আপাতত স্থগিত হয়ে গেল নৈশাবাস তৈরির কাজ। এই পরিস্থিতিতে নৈশাবাস তৈরি কবে হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেল।
কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর বরোর অন্তর্ভুক্ত গাঁধী কলোনি এবং তিলকনগরে নৈশাবাস তৈরির জন্য স্থানীয় বরো থেকে অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করা হচ্ছিল। জায়গা না থাকায় ওই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা যায়নি। পরে, এলাকার ওই দুই জায়গায় জমি চিহ্নিত করলেও মালিকানা নিয়ে জটিলতা থেকে গিয়েছে। জমি জটিলতা যত ক্ষণ পর্যন্ত না মিটছে, তত ক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়িত সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বরো চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত।
এই দু’টি এলাকায় জমির উপরে রয়েছে পরিত্যক্ত বাড়ি। দু’টি বাড়িতেই ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে সেগুলিও বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। জমির মালিকানা পেলে দু’টি পরিত্যক্ত বাড়ি নতুন করে গড়ে নৈশাবাস তৈরি করা যেতে পারে বলেও পুর কর্তৃপক্ষ জানান।
তপনবাবু বলেন, ‘‘এলাকায় কোনও নৈশাবাস নেই। সেই কারণেই ওই প্রকল্প তৈরিতে উদ্যোগী হয়ে পুরসভাকে প্রস্তাব দিয়েছি। আপাতত যে দু’টি জমি চিহ্নিত হয়েছে তা উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের জমি। সে কারণেই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা যাচ্ছে না।’’
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের বেশির ভাগ এলাকাতেই জায়গার অভাবে নৈশাবাস তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণে পুরসভা নিজের জমি ছাড়া অন্য সংস্থার কাছেও জমির ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘‘১০ নম্বর বরোয় নৈশাবাসের বিষয়টি জানি না। তবে জমির জন্য কেএমডিএ, রাজ্য পূর্ত দফতর এবং কলকাতা বন্দরকেও আবেদন করা হয়েছে। ওই সংস্থাগুলি থেকেও যদি সাহায্য পাওয়া যায় সুবিধা হবে।’’
মেয়র পারিষদের মতে, অনেক সময়ে রাজ্য সরকারের পরিত্যক্ত জমি সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলার পরে হস্তান্তর করা হয়। পরে সেখানেও নৈশাবাস তৈরি করা যেতে পারে। সরকারি তরফে পুরসভাকে বেশ কয়েকটি জমি ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। সেখানে নৈশাবাস তৈরি করা হয়েছে। গাঁধী কলোনি এবং তিলকনগরে যদি জমির মালিকানা ঠিক থাকে, তা হলে সরকারি দফতরের সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে বলে
তিনি জানান।
পুর কর্তৃপক্ষ জানান, আপাতত শহরে ৪৪টি নৈশাবাস রয়েছে। আরও প্রায় শ’খানেক নৈশাবাস তৈরি করা হলে রাত্রিকালীন আবাসের সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে তাঁদের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy