Advertisement
E-Paper

পুলিশকর্মীর ছেলের মৃত্যু, খুনের অভিযোগ

প্রভাকরের বাবা কৃষ্ণানন্দ গিরি বর্তমানে শাসন থানার কনস্টেবল। এ দিন তিনি জানান, প্রভাকর ব্যাঙ্কে সার্ভারের কাজ করতেন। শুক্রবার ছেলে কাজে যাননি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৯ ০০:৪৯
Share
Save

রাজ্য পুলিশের এক কনস্টেবলের ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম প্রভাকর গিরি (২৪)। শনিবার সকালে বারাসতের কাছারি মাঠের কাছে পুলিশ আবাসনের পাশেই প্রভাকরের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় স্থানীয় এলাকায়। যুবককে খুন করা হয়েছে বলে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার।

প্রভাকরের বাবা কৃষ্ণানন্দ গিরি বর্তমানে শাসন থানার কনস্টেবল। এ দিন তিনি জানান, প্রভাকর ব্যাঙ্কে সার্ভারের কাজ করতেন। শুক্রবার ছেলে কাজে যাননি। দুপুরের দিকে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে বাড়িতে ফেরেন। বিকালে ফের বেরিয়ে যান। পরিবারের দাবি, রাত ১০টা নাগাদ মোবাইলে তাঁকে ফোন করা হলে প্রভাকর জানান, তিনি বারাসত স্টেশনের পাশে বন্ধুদের সঙ্গে রয়েছেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই বাড়ি ফিরবেন।

পুলিশের কাছে অভিযোগে পরিবার জানিয়েছে, এর পর থেকেই আর মোবাইলে প্রভাকরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। রাতে তাঁরা খোঁজাখুজিও করেন। এর পরে শনিবার সকালে পুলিশ আবাসনের পাশে তাঁর রক্তাক্ত দেহ মেলে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসতের একটি নার্সিংহোমে। সেখানেই প্রভাকরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। খুনের অভিযোগ দায়েরের পরে প্রভাকরের দেহ ময়না-তদন্তে পাঠায় পুলিশ।

ওই পুলিশ আবাসনেরই দোতলায় থাকেন কৃষ্ণানন্দ। চার মেয়ের মধ্যে তিন জনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। দুই ছেলের মধ্যে প্রভাকরই বড়। বৃহস্পতিবার রাখি ছিল, তাই বাড়িতে সব ভাইবোনেরা একত্র

হয়েছিলেন। ঘটনায় শোকস্তব্ধ এলাকার মানুষও। ছেলের মৃত্যুর পিছনে তাঁর বন্ধুদের সন্দেহ করছে কৃষ্ণানন্দের পরিবার। কারণ, তাঁর কান ও মুখ দিয়ে রক্ত বার হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। যেখান থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই এলাকার সিসিটিভির ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Death Police Youth

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}