রোহিত
বারো দিন নিখোঁজ থাকার পরে এক কিশোরের পচাগলা দেহ উদ্ধার হল। বুধবার দুপুরে, কলকাতা স্টেশনের কাছে চিত্পুরের একটি খাল থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরের নাম রোহিত চৌধুরী (১৪)। সে শ্যামবাজার বিদ্যামন্দিরের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। বাড়ি লেকটাউন থানার দক্ষিণদাঁড়িতে। ওই কিশোরকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা প্রদীপ চৌধুরী। বিধাননগর কমিশনারেটের এডিসিপি দেবাশিস ধর বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহটি এতই পচাগলা যে, বাইরে থেকে দেখে বোঝা যাচ্ছে না শরীরে ক্ষত আছে কি না। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে।”
পুলিশ জানায়, এ দিন ওই খালের ধার দিয়ে স্থানীয় এক যুবক যাচ্ছিলেন। তিনিই দেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়দের খবর দেন। আসে জিআরপি। রোহিতের বাড়ির লোক লেকটাউন থানার পাশাপাশি জিআরপি-তেও নিখোঁজ ডায়রি করেছিলেন। জিআরপি থেকেই লেকটাউন থানা খবর পায়। পরে রোহিতের পরিবার দেহ শনাক্ত করে।
রোহিতের পরিবার সূত্রে খবর, অষ্টমীর দিন থেকে নিখোঁজ ছিল রোহিত। তার বাবা পেশায় গাড়িচালক। পুলিশ জানায়, প্রদীপবাবু লেকটাউন থানায় নিখোঁজ ডায়রির সঙ্গে একটি অপহরণের অভিযোগও করেছেন। অভিযোগ, রোহিতের বাবার সঙ্গে বাড়িওয়ালার কিছুদিন ধরে গণ্ডগোল চলছিল। তার জেরেই এই অপহরণের ঘটনা বলে অভিযোগ প্রদীপবাবুর। দেহ উদ্ধারের পরে প্রদীপবাবু দাবি করেন, “আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। বাড়িওয়ালার সঙ্গে ঝামেলার পরেই আমার ছেলে নিখোঁজ হয়। এই ঝামেলার সঙ্গে আমার ছেলের মৃত্যুর কোনও যোগ আছে কি না, পুলিশকে তা খতিয়ে দেখতে বলেছি।”
এ দিন তদন্তে নেমে পুলিশ রোহিতের পরিজনেদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। রোহিত কেন চিত্পুর এলাকায় গেল? সেখানে বন্ধুবান্ধব আছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, জলে ডুবে মৃত্যু হলে তিন-চার দিনে দেহ ভেসে ওঠে। দেহটি এতদিন পরে কেন ভেসে উঠল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্য কোনও জায়গায় খুন করে দেহটি খালে ফেলা হতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy