বিটকয়েন কেনার প্রলোভনে বিক্রেতাদের বলে দেওয়া জায়গায় টাকা নিয়ে হাজির হয়েছেন ক্রেতারা। দু’পক্ষের মধ্যে চলছে আলোচনা ও দর কষাকষি। সেই সময়েই আচমকা পুলিশের হানা। হাতেনাতে ‘পাকড়াও’ ক্রেতারা। তার পরে পুলিশকে টাকা দিয়ে গ্রেফতারি এড়ালেন ক্রেতারা।
এ ভাবে হিন্দি ছবির চিত্রনাট্যের ধাঁচে পুলিশের পরিচয় দিয়ে টাকা নিয়ে চম্পট দিত এক দল দুষ্কৃতী। বিটকয়েন প্রতারণার তদন্তে নেমে এমনই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাজারহাট এবং দত্তাবাদ থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম সুব্রত দে ওরফে বুয়া ও তাপস দাস। প্রথমে ধরা হয় রাজারহাটের বাসিন্দা বুয়াকে। তাকে জেরা করতেই দত্তাবাদের বাসিন্দা তপনের নাম উঠে আসে। এই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছে ৭ জন।
পুলিশ জানায়, ১১ জানুয়ারি দিল্লির বিবেকপুরীর বাসিন্দা শান্তনু শর্মা বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সল্টলেকে ব্যবসায়িক একটি লেনদেনের বিষয়ে দুই ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু ব্যবসায়িক লেনদেনের নামে তাঁর কাছ থেকে ৬১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন শান্তনু। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শান্তনু বিটকয়েন কেনার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরেও তাঁকে প্রতিশ্রুতিমতো কিছুই দেওয়া হয়নি।
অভিযুক্তদের বাগে আনতে বিটকয়েন কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তদন্তকারীরা। একে একে চক্রের সকলের সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারে পুলিশ। কিন্তু তাদের ধরা যাচ্ছিল না। এর পরে ক্রেতা সেজে পুলিশ ছয় অভিযুক্তকে একসঙ্গে গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করে জানা যায়, বিটকয়েন বিক্রির লোভ দেখিয়ে টাকা ছিনতাই করে নেওয়াই ছিল দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য। সেখানে পুলিশ সেজে এসে টাকা আদায় করা হত। এর ফলে যাঁদের টাকা ছিনতাই করা হত, তাঁরাও ভয়ে অভিযোগ দায়ের করতেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy