অল্প হাওয়া আর এক পশলার বৃষ্টির পরেই ভ্যাপসা গরম। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। কয়েক দিন ধরে তার জেরে ভুগতে হচ্ছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের মানুষকে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা এলাকায় লাইন সংস্কারের কাজ হওয়ায় এই সমস্যা বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। প্রশ্ন উঠেছে, গরমের সময়ে কেন লাইন মেরামতির কাজে হাত দেওয়া হল?
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কল-কারখানা চলে সিইএসসি-র বিদ্যুতে। বাকি কিছু কারখানা, বাড়ি, শপিং মল, বাজার, পুরসভা ও সরকারি অফিসে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বণ্টন সংস্থা। গরমে যত সমস্যা তাদের লাইনেই। লাইন সংস্কারের কাজ হওয়ায় সাবস্টেশনগুলির উপরে চাপ বেড়েছে। ফলে বারবার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।
ব্যারাকপুরের বাসিন্দা তনিমা সাহা বলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরে বারবার বিদ্যুৎ যাচ্ছে, আসছে। ফ্রিজ, ইন্ডাকশন, মাইক্রোওভেন, এসি কিচ্ছু চালানো যাচ্ছে না। সন্ধ্যার সময়েও আলো থাকছে না।’’ একটি কারখানার মালিক সনৎ রায় বলেন, ‘‘দু’দিন ধরে উৎপাদন বন্ধ। বিদ্যুৎ দফতরে ফোন করলে ফোন তুলছেন না আধিকারিকেরা। অফিসে অভিযোগ জানালে সকলেই এড়িয়ে যাচ্ছেন।’’ বণ্টন সংস্থার ব্যারাকপুর ডিভিশনের ম্যানেজার শৌভিক সরকারকে বারবার ফোন করা হলেও ফোন তোলেননি তিনি। জবাব দেননি এসএমএসেরও।
বিদ্যুৎ ভবন সূত্রে খবর, কয়েক দিন ঝড়-বৃষ্টির কারণে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় অনেক জায়গাতেই তার ছিঁড়ে যায়। সেই লাইন মেরামতির জন্য বিভ্রাট হচ্ছে। এ ছাড়াও শিল্পাঞ্চল এলাকায় লো-ভোল্টেজ সমস্যা মেটাতে ছয় কেভি-র লাইন বদলে ১১ কেভি-তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাই মাঝেমধ্যে আলো চলে যাচ্ছে।
কিন্তু গরমে লাইন সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হল কেন? বণ্টন কর্তৃপক্ষের যুক্তি, শিল্পাঞ্চলের চারটি লাইনের মধ্যে দু’টির কাজ আগেই হয়েছে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে পরীক্ষা থাকার জন্য কাজে হাত দেওয়া যায়নি। তাই এখন কাজ শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy