পরিদর্শনে রেলের টিম। ফাইল চিত্র।
মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পর রেল লাইনের উপর দিয়ে লেভেল ক্রসিং করে দু’টি রাস্তা তৈরি করতে চাইছে রাজ্য। কিন্তু শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় ট্রেন চলাচল এবং বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখার পর, দু’টির বদলে একটি লেভেল ক্রসিংয়ে ছাড় দিতে পারে রেল। তেমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। যদিও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রেল বোর্ড।
লেভেল ক্রসিং সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দ্রুত নিতে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার হরিন্দার রাওকে বৃহস্পতিবার ফোন করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে। তার পরেই শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পূর্ব রেলের এজিএমের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল।
রেলের এক আধিকারিক জানান, শুধু লেভেল ক্রসিং করে দিলেই তো হবে না। এর সঙ্গে জড়িত অর্থনৈতিক দিকটিও খতিয়ে দেখতে হবে। মাঝেরহাট খালের উপর দিয়ে লেভেল ক্রসিং-এর মাধ্যমে দু’টি রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করলে ট্রেনের সংখ্যা কমাতে হতে পারে। পণ্যবাহী ট্রেনের চলাচলের উপরও নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। হঠাৎ করে অনুমতি দেওয়া যায় না।
রেল সূত্রে খবর, একটি লেভেল ক্রসিংয়ে গেট ওঠা-নামা করতে ৩ থেকে ৪ মিনিট সময় লাগে। শিয়ালদহ থেকে বজবজের মধ্যে ১০টি স্টেশন রয়েছে। ২৫ কিলোমিটার দূরত্বের এই পথে প্রতি দিন ৮০টি ট্রেন যাতায়াত করে। তার মধ্যে আবার পণ্যবাহী ট্রেনও রয়েছে। এই পথে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। সকাল এবং বিকেল থেকে সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অন্তর ট্রেন চলাচল করে। মাঝেরহাট স্টেশনের কাছে আরও দু’টি লেভেল ক্রসিং হলে সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে রেল। তার বদলে একটি লেভেল ক্রসিং করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। যদি দু’টি লেভেল ক্রসিং করতেই হয়, তা হলে ট্রেনের সংখ্যা কমাতে হবে।
আরও পড়ুন: বন্দর এলাকায় কমল না জট
তবে কি একটি লেভেল ক্রসিং করা হবে? রেলের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, এ দিন পরিদর্শনের পর রিপোর্ট যাবে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার হরিন্দার রাও-এর কাছে। তিনি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সেই ফাইল পাঠাবেন রেল বোর্ডের কাছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রেল বোর্ডই নেবে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
রেলের এক আধাকিরাক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর অনেক দিন কেটে যাওয়ার পর গত বুধবার লেভেল ক্রসিং নিয়ে রাজ্যের তরফে চিঠি আসে রেলের কাছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে জিএম-এর ফোনে কথাও হয়।
আরও পড়ুন: পূর্ত দফতরই অনুমতি দিয়েছে, পুলিশের চিঠির উত্তরে মেট্রোর জবাব
তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এজিএম-এর নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিশেষ দল। রাজ্যের পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ার এবং কলকাতা পুলিশের সঙ্গেও ওই দলটির কথা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy