গরমের শুরুতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট। শুক্রবার সিইএসসি-র বজবজ-চকনীড় ওভারহেড লাইনে হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে লোডশেডিং হয়। সকাল ১১টা নাগাদ মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হতে প্রায় ঘণ্টা খানেক লাগে।
সিইএসসি কর্তৃপক্ষের দাবি, ওভারহেড লাইনে ঘুড়ির সুতো বা কোনও গাছের ডাল-পাতা উড়ে এসে পড়ায় লাইন ট্রিপ করে। সে কারণেই হঠাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
সংস্থার বজবজ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ওভারহেড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আসে সন্তোষপুরের কাছে চকনীড় সাবস্টেশনে। সেখান থেকে মাঝেরহাট সাবস্টেশন হয়ে কলকাতায় সিইএসসি-র বিদ্যুৎ আসে। এ দিন ওভারহেড লাইন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে খারাপ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাবস্টেশনগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বেহালা, মেটিয়াবুরুজ থেকে শুরু করে ভবানীপুর, আলিপুর এমনকী ধমর্তলা অঞ্চল লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এ দিন সকাল থেকে সূর্যের তাপও ছিল বেশ চড়া। যখন লোডশেডিং হয় তখন তাপমাত্রাও ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বেশ কিছুক্ষণ গরমে কষ্ট পেতে হয় গ্রাহকদের। এপ্রিলের শুরুতেই যদি লোডশেডিং হয় তা হলে, মে-জুন মাসে গরম যখন আরও বাড়বে তখন কী হবে? চিন্তায় গ্রাহকেরা।
সিইএসসি-র অন্যতম ডিরেক্টর অভিজিৎ ঘোষ দাবি করেছেন, হঠাৎ কোনও যান্ত্রিক বিভ্রাট না
হলে বিদ্যুতের অভাবে কলকাতায় এ বছরও লোডশেডিং হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। গ্রাহকদের চাহিদা যতই বাড়ুক না কেন তা মেটানোর ক্ষমতা তাঁদের আছে।
গত বছর গরমে সিইএসসি এলাকায় গ্রীষ্মের সময়ে বিদ্যুতের সর্বাধিক চাহিদা উঠেছিল ২০৪২ মেগাওয়াট। এ বছর গরম ভাল পড়লে সেই চাহিদা ২১০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে বলে সংস্থা কর্তৃপক্ষ মনে করছেন। আর তা হলেও সিইএসসি দিন-রাত বিদ্যুৎ পরিষেবা দিয়ে যেতে পারবে বলে দাবি করেছে। খুব জরুরি কোনও প্রয়োজন না হলে বিকেল চারটের পরে কোথাও লোডশেডিং করা যাবে না বলে সংস্থা কর্তৃপক্ষ কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy