প্রতীকী ছবি।
ভাগাড়-কাণ্ডে বিপাকে পড়েছেন গরুর মালিকেরা।
সম্প্রতি শারীরিক অসুস্থতার কারণে দক্ষিণ দমদমের ঘোষপাড়ায় তিনটি গরুর মৃত্যু হয়। সাধারণত এ সব ক্ষেত্রে ডোম ডেকে তাঁদের হাতে মৃত পশুর দেহ তুলে দেওয়াটাই রীতি। কিন্তু সেই ডোমেরা এখন মরা পশুর দেহ নিতে চাইছেন না। মঙ্গলবার ঘোষপাড়ার বাসিন্দা সৌমেন ঘোষের গরু মারা যায়। পরিচিত ডোমকে ফোনে খবর দেন তিনি। কিন্তু ডোম যা বলেন, তা শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না সৌমেনবাবু। ভাগাড়ের ঘটনার প্রেক্ষিতে মৃত গরুর দেহ নিতে অস্বীকার করেন ডোম। তিনি জানান, চার দিকে যা চলছে, তাতে মৃত গরুর দেহ এখন তাঁরা নিচ্ছেন না। মারধরের আশঙ্কা থেকেই এই সিদ্ধান্ত। পরের দিন একই অভিজ্ঞতা হয় অন্য দুই গরুর মালিকের। এ দিকে, দীর্ঘক্ষণ মৃতদেহ ফেলে রাখাও সম্ভব নয়। ওই পরিস্থিতিতে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর প্রবীর পালকে সমস্যার কথা জানান গরুর মালিকেরা। পুর কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানানো হয়।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার জনস্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যান পারিষদ দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রথমে ধাপায় দেহগুলিকে সমাধিস্থ করা সম্ভব কি না, তা জানার চেষ্টা করা হয়। সেই মতো পুরপ্রধান একটি চিঠিও লিখে দেন। কিন্তু কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরের সই না থাকলে দেহ নেওয়া যাবে না বলে মৃত গরুর মালিকদের জানিয়ে দেন ধাপা কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ দমদম পুরসভার অন্তর্গত প্রমোদনগর এলাকার ভাগাড়ে মাটি খুঁড়ে ওই তিনটি গরুকে সমাধিস্থ করা হয়। শনিবার প্রবীর বলেন, ‘‘দমদমে খাটালের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এই সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।’’ দেবাশিসের কথায়, ‘‘প্রমোদনগরে চারটি পুরসভার জঞ্জাল ফেলা হয়। সেখানেও তো জায়গা সীমিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy