বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন নিয়ে চার দিক তোলপাড়। ‘স্বদেশি ভাণ্ডার’, ‘স্বদেশি ঝাঁপি’ স্থাপন হচ্ছে, বিশাল জমায়েত। খবর এল, রবীন্দ্রনাথ নাখোদা মসজিদের দিকে এগিয়ে গেছেন সহিস ভাই আর দোকানদারদের রাখি পরাতে পরাতে। জোড়াসাঁকোয় থরহরিকম্প। দিনেন্দ্রনাথ আচ্ছা লাঠি ঘোরাতে পারতেন, তিনিও প্রস্তুত। গোলযোগ কিন্তু হল না কিছু, বরং রাখিবন্ধনের মাধ্যমে স্বদেশ চর্চার নবধারা সূচিত হল। এই প্রেক্ষাপটেই অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভারতমাতা ছবির নির্মাণ। প্রথমে ভাবা হয়েছিল বঙ্গমাতা, ভগিনী নিবেদিতা ও বিশিষ্ট ভারত-চিন্তকদের সমর্থনে তা ভারতমাতা নামে খ্যাত হল। স্বদেশচেতনা তথা ভারতশিল্প আন্দোলনের অন্যতম দিগ্দর্শক ওয়াশ পদ্ধতিতে আঁকা অবনীন্দ্রনাথের এই ছবি।
এই চতুর্ভুজা মাতৃরূপের (ছবিতে) বৈভবের সীমা নেই। শিল্পগুরুর স্বদেশচিন্তন, সমাজভাবনা ও ভারতশিল্পের নবজাগরণকেও চিহ্নিত করে এই ছবি। মুক্ত চিন্তা ও যুক্ত প্রথা-প্রকরণের আত্তীকরণে যে ভারতশিল্প বিশ্বশিল্পকে মুগ্ধ করে রেখেছে। অবনীন্দ্রনাথের কথায়, “শিল্পশাস্ত্রে একটি কথা আছে— ‘আদানে ক্ষিপ্রকারিতা প্রতিদানে চিরায়ুতা’— নানা শিল্পে নানা প্রথা-প্রকরণ শিল্পীকে দেশ-বিদেশ থেকে আদায় করতে হয়। ভারতশিল্পের আভিজাত্য বজায় রাখতে পূর্বার্জিতের মধ্যে নিজেদের বদ্ধ রাখলে নতুন প্রথা-প্রকরণের অর্জন করা কোন কালেই ঘটবে না।” ভারতমাতা-র অনন্যতা বিপুল, প্রাচ্যের ওয়াশ পেন্টিং থেকে শুরু করে মোগল শৈলীরও নির্যাস এতে। ছবিতে দিগন্তরেখা বর্তুলাকার, ওয়াশের দ্বারা বিলীয়মান। ভারতমাতা যেন পৃথিবীর উপর দাঁড়িয়ে। পশ্চাৎপটে সোনালি-হলুদের মোলায়েম কিন্তু দীপ্ত আবরণ। মাথার পিছনে বৌদ্ধিক জ্যোতির্বলয়, রবিরশ্মির মতো উজ্জ্বল, মধ্যের আঁধার অঞ্চলকে ঘিরে আছে। গৈরিক বস্ত্রাবৃতা মাতৃমূর্তি, চার হাতে পুঁথি, শস্য, বস্ত্র ও জপমালা। গলায় রুদ্রাক্ষ। পা দু’খানি উজ্জ্বলতাবহ। পদপ্রান্তে শ্বেতপদ্ম।
শিল্পগুরুর কথনে উল্লেখ আছে ওকাকুরা প্রেরিত দুই জাপানি শিল্পী টাইকান ও হিশিদা-র। তাঁরা এ দেশের পথে, বাজারে ঘুরতেন, ছবি আঁকতেন জাপানি ধারায়: ‘অনেক ছবি এঁকেছিল তারা... টাইকান এঁকেছিল সরস্বতী ও কালীর ছবিদুটি...’ টাইকান-হিশিদার ছবির পদ্ম— যেমন আছে অজন্তার ছবিতেও— হাত ধরাধরি করে আছে ভারতমাতা-য়। আবার, স্বদেশের মূল মন্ত্রও ধ্বনিত ছবির পরতে পরতে। খাদ্য, বস্ত্র, জ্ঞানার্জন, অধ্যাত্মচিন্তার সম্মিলনে ভারতেরই অন্তরাত্মা।
এই ছবিটি এক জাপানি শিল্পী বড় করে এঁকে দিয়েছিলেন বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের মিছিলে বহন করার জন্য। আবার ১৯১৭-১৮ সালে জগদীশচন্দ্র বসুর ৯৩ নং এ পি সি রোডের বাড়িতে নন্দলাল বসুর দেওয়াল ও সিলিংজোড়া অজন্তার ম্যুরালের কাজের পাশাপাশি আছে ভারতমাতা-র আর এক প্রতিরূপ— ঈশ্বরীপ্রসাদ বর্মার রেখাঙ্কনে। শিল্প, বিজ্ঞান, স্বদেশ চেতনা এ ভাবেই পরিবাহিত হয়েছে এ দেশে। প্রজাতন্ত্র দিবসের আবহে সেই সিংহাবলোকন স্মরণযোগ্য, প্রয়োজনীয়ও।
সুরের সাধনা
ভাল নাম উমা, ডাকনাম হাসি। গাঁধীর কাছে তিনি ‘নাইটিঙ্গেল অব বেঙ্গল’, জোড়াসাঁকোয় তাঁর গান শোনেন রবীন্দ্রনাথ, অরবিন্দ ডেকে পাঠান সে কালের পন্ডিচেরিতে, বাড়িতে আসর বসান সুভাষচন্দ্র বসু। উমা বসুর (১৯২১-১৯৪২) গানে মুগ্ধ সুরসাধক দিলীপকুমার রায় উজাড় করে দিয়েছিলেন নিজের সঙ্গীতসম্পদ (ছবিতে তাঁর সঙ্গে উমা)। একের পর এক রেকর্ড, দ্বিজেন্দ্রলাল-অতুলপ্রসাদ-রজনীকান্ত-দিলীপকুমারের গানের পাশাপাশি হিমাংশু দত্ত, সুবোধ পুরকায়স্থ, সুনির্মল বসুর সুরে। তাঁর জন্য গান লিখেছিলেন নজরুল, জসীম উদ্দীনও। উমা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নেন ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও। মাত্র একুশ বছরে ফুরিয়ে যায় প্রতিভাময়ী এই গায়িকার জীবন। ২২ জানুয়ারি তাঁর জন্মদিন, প্রয়াণদিনও— সে দিন দিলীপকুমার রায়েরও জন্মদিন। জন্মশতবর্ষে উমা বসু ও সেই সঙ্গে দিলীপকুমারকেও আন্তর্জালে এ দিন গানে কথায় সুরে স্মরণ করলেন শহরের সংস্কৃতিমনস্ক ক’জন তরুণ-তরুণী, ‘জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে।
প্রতিষ্ঠা দিবসে
বিদ্যা চর্চা, গবেষণা, ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে জ্ঞানের প্রসারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার গোলপার্ক, ১৯৩৮ সালের ২৯ জানুয়ারি। আট দশকেরও বেশি সময় ধরে এই শহরের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে এই ইনস্টিটিউট, প্রভাব ফেলেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। ১৯৬১-র ১ নভেম্বর ইনস্টিটিউটের বর্তমান ভবন (এখন ‘হেরিটেজ বিল্ডিং’ হিসেবে রক্ষিত) উদ্বোধন করেন জওহরলাল নেহরু, আয়োজিত সংস্কৃতি-সভার সভামুখ্য ছিলেন সর্বেপল্লি রাধাকৃষ্ণন। ৮৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসে আগামী শুক্রবার সন্ধে সাড়ে ৫টায় বিবেকানন্দ হল-এ ‘দ্য নিউ নর্মাল’ নিয়ে বলবেন অর্থনীতির অধ্যাপক ও জ়েভিয়ার স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট, জামশেদপুরের অন্ত্রেপ্রেনিয়রশিপ ডেভলপমেন্ট সেন্টার-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রবাল কুমার সেন। সভামুখ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কোভিড-বিধি মেনে, বিশেষ প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে দেখা যাবে অনুষ্ঠান।
চারশো এক
ছ’বছর আগে শুরু হয়েছিল ১০১ পদ দিয়ে। বাড়তে বাড়তে তা এখন ৪০১ পদের ভোগে এসে দাঁড়িয়েছে। এঁচড়ের বিরিয়ানি থেকে নারকোলের পরোটা, লাউয়ের কোরমা থেকে কপি পাতার চাটনি, কী নেই! বাগবাজারের রায়চৌধুরী বাড়ির পৌষকালীর পুজো ছিল আগে ও পার বাংলায়। দেশভাগের সময়ে এ পারে চলে আসা, তার পর দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পরে আবার শুরু হয়েছে পুজো। সঙ্গে শুরু রকমারি ভোগ রান্নাও। শিখ, খ্রিস্টান-সহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষেরা এসে রান্না করছেন সেই ভোগ। থাকছে দেশের বিভিন্ন প্রদেশের হরেক রকমের পদও। পারিবারিক পুজোর ঐতিহ্যে এসে মিশেছে ভারতের বিচিত্রবিস্তারী সংস্কৃতি। আক্ষরিক অর্থে বিবিধের মাঝে মহান মিলন।
মায়ার সম্ভার
শীতের সম্ভারে সেজে উঠেছে শহরের সাংস্কৃতিক পরিসর। কসবা রাজডাঙার মায়া আর্ট স্পেস-এ শিল্পমেলা ‘মায়া আর্ট ফেয়ার’-এর আয়োজন আগামী ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি, দুপুর দু’টো থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। গত বছর এই মেলায় হইহই হয়েছিল খুব, যোগেন চৌধুরী, গণেশ হালুই, বিমল কুণ্ডু-সহ প্রায় কুড়ি জন শিল্পীর শিল্পকর্ম আনা হয়েছিল শিল্পপ্রেমী সাধারণের ধরাছোঁয়ার আওতায়। এ বছরও থাকছে প্রবীণ ও নবীন বহু শিল্পীর কাজ— ছবি, মূর্তি, ছাপচিত্র, আলোকচিত্র। সঙ্গে বাংলার পট, টেরাকোটার পুতুল আর থাকছে মাটির ভাঁড়ে গরম চা! এই সমস্তই কোভিড-বিধি মেনে। মেলায় আসা রসিকজনের সঙ্গে আড্ডা দিতে রোজ উপস্থিত থাকবেন শিল্পীরা।
জন্মদিন
সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলায় বিজ্ঞান চর্চার প্রসারে কাজ করছে আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু প্রতিষ্ঠিত ‘বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ’। কলকাতায় আজ যে এত বিজ্ঞান ক্লাব ও সংগঠন, পরিষদকে সে ধারার পথিকৃৎ বললে অত্যুক্তি হয় না। নিয়মিত প্রকাশ করেন বিজ্ঞান পত্রিকা, বই। আজ ২৫ জানুয়ারি পরিষদের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস, রাজা রাজকৃষ্ণ স্ট্রিটে পরিষদ সভাগৃহে বিকেল ৪টেয় সভা। ‘বিজ্ঞান ও ব্যঞ্জনা’ বিষয়ে ‘আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু স্মারক বক্তৃতা’ দেবেন বিশ্বরূপ মুখোপাধ্যায়। অর্পণ করা হবে যোগমায়া বসু ও জয়ন্তী বসুর নামাঙ্কিত স্মৃতি পুরস্কার, ‘জ্ঞান ও বিজ্ঞান পুরস্কার’ও। প্রকাশিত হবে শ্যামল চক্রবর্তীর বই বিস্মৃতপ্রায় বিজ্ঞানী ভূপেন্দ্রনাথ ঘোষ। সভাগৃহে বা পরিষদের ইউটিউব চ্যানেলেও দেখা যাবে অনুষ্ঠান।
অমূল্য ঐতিহ্য
১৯০৮ সাল। ব্রিটিশ সরকার-বিরোধী কাগজপত্রের খোঁজে নেমে কলকাতার ফুটপাতে গোয়েন্দারা পেলেন এক কালীঠাকুরের ছবি, মুণ্ডমালায় গোরা বিদেশিদের কাটা মুন্ডু! সিদ্ধান্ত হল, এ তো সরকার পতনের বার্তা! ১৮৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘ক্যালকাটা আর্ট স্টুডিয়ো’র পৌরাণিক লিথোগ্রাফ প্রিন্টগুলির অন্যতম ছিল বিতর্কিত এই পোস্টার। শিল্পশিক্ষক অন্নদাপ্রসাদ বাগচী চার ছাত্রকে নিয়ে এই স্টুডিয়ো শুরু করেন। রামমোহন রায়, দ্বারকানাথ ঠাকুর থেকে শ্রীরামকৃষ্ণ বা স্বামী বিবেকানন্দের মতো মনীষীর পরিচিত বহু পোর্ট্রেটের জন্ম এখানেই। ছাপা হয়েছে পৌরাণিক উপাখ্যানভিত্তিক স্বতন্ত্র শৈলীর ছবিও। এ সব ছবি ঘরে ঘরে পৌঁছে তৈরি করেছিল স্বদেশি এক ‘পপুলার কালচার’। ক্রমে স্টুডিয়োর একমাত্র সত্ত্বাধিকারী হন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নবকুমার বিশ্বাস, উত্তরকালে তা পরিণত হয় আধুনিক ছাপাখানায়। গত দশ বছর ধরে নিজস্ব পৌরাণিক ছবি-সংগ্রহ থেকে বঙ্গ-মুদ্রণশিল্পের বহু উদাহরণ ক্যালেন্ডারে তুলে আনছে ক্যালকাটা আর্ট স্টুডিয়ো। সংস্থার অন্যতম কর্ণধার শুভজিৎ বিশ্বাস এ বছর প্রকাশ করেছেন টেবিল ক্যালেন্ডার দি এপিক কালেকশন: সিনস ফ্রম রামায়ণ অ্যান্ড মহাভারত। আছে সীতা হরণ, রাম-নির্বাসন, সীতা নির্বাসন (ছবিতে), দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ, ভীষ্মের শরশয্যা-সহ বারোটি লিথোগ্রাফের ছবি।
ছবিতে স্মরণ
ফাদার গাস্তঁ রোবের্জ ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণ স্তব্ধ করেছে এ শহরকে গত বছর। তাঁদের স্মরণ প্রকৃত অর্থে তাঁদের সুগভীর মনস্বিতারই উদ্যাপন, সেই ভাবনা থেকেই কলকাতার চলচ্চিত্র গোষ্ঠী ‘সিনেমাথেক’ আগামী ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি দু’দিন বিকেল ৫টায় নন্দন-৩ প্রেক্ষাগৃহে আয়োজন করেছে স্মরণসভা। থাকবেন গৌতম ঘোষ, রাজা মিত্র ও সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, দেখানো হবে ফাদার রোবের্জকে নিয়ে কে জি দাশের তথ্যচিত্র মাস্টার প্রিচার অব ফিল্ম থিয়োরি এবং গৌতম ঘোষের কাহিনিচিত্র দেখা। অন্য দিকে, গত ১৯ জানুয়ারি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও অন্য কয়েকটি বিভাগের পড়ুয়ারা মিলে ছাত্র সংসদের ওয়েবসাইটে বার করেছে ই-পত্রিকা অমৃত-র ‘সৌমিত্র স্মরণ’ সংখ্যা। সেখানে লিখেছেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, লিলি চক্রবর্তী, অনীক দত্ত-সহ সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টজন, সেই সঙ্গে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরাও।
সুভাষ মেলা
কুদঘাটের ৭১ বছর পুরনো ক্লাব উন্নয়নী সঙ্ঘের উদ্যোগ ‘সুভাষ মেলা’। শুরুর দিনগুলিতে হত স্বদেশি সার্কাস, পুতুল নাচ, যাত্রা। সময়ের সঙ্গে মেলার চরিত্র বদলেছে, পাল্টায়নি ক্লাবের ‘নেতাজি মেলা কমিটি’র উদ্যোগে নেতাজির জন্মদিন বিশেষ ভাবে পালনের রীতি। এই উপলক্ষেই অতীতে অনুশীলন সমিতির সদস্য-সহ বিপ্লবী গণেশ ঘোষ, বীণা দাস, পান্নালাল গুপ্ত, অমরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, নিরঞ্জন বিশ্বাস, চুনীলাল সিংহ প্রমুখ সংবর্ধিত হয়েছেন ক্লাবে। ক্লাবের মাঠে এ বছর নেতাজির জীবনভিত্তিক প্রদর্শনী, আজ থেকে শুরু, চলবে দশ দিন। প্রায় ৫০টি ছবিতে নেতাজির জীবন ও কীর্তি— বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ, হিটলার ও অন্য রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, জাপানের সঙ্গে যোগাযোগ, আজাদ হিন্দ ফৌজের লড়াই। ছবিতে আজাদ হিন্দ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ডাকটিকিট।
বিদায়
৩৬১ কেয়াতলা লেনের ঠিকানায় ১৯৮৪ সালে গড়ে ওঠে রাষ্ট্রীয় ললিত কলা অকাদেমি-র আঞ্চলিক কেন্দ্র। অকাদেমির প্রথম চেয়ারম্যান, শিল্পী ভাস্কর দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন এখানে। এখানকার স্টুডিয়োতেই তিনি তৈরি করেন তাঁর বিখ্যাত ‘একাদশ মূর্তি’ (ডান্ডি যাত্রা), আজ যা স্থাপিত দিল্লির সর্দার পটেল মার্গে। গত ১৬ জানুয়ারি, শনিবার হঠাৎই প্রয়াত হলেন এই কেন্দ্রের প্রথম সাম্মানিক আঞ্চলিক সচিব, শিল্পী বিষ্ণু দাস। অফুরন্ত সাংগঠনিক শক্তির অধিকারী, জাতীয় পুরস্কার জয়ী এই শিল্পী এই কেন্দ্রের প্রথম সাম্মানিক অধিকর্তার পদও সামলেছেন দক্ষতার সঙ্গে।
মনে কী দ্বিধা
ভারতের অস্ট্রেলিয়া-জয়ের পর থেকে পাড়ায় ক্রিকেট কোচিং ক্লাবে ভিড়। বঙ্গ-বাবারা মহোৎসাহে ছেলেদের পৌঁছে দিচ্ছেন প্র্যাকটিসে, তাঁদের এক্সট্রা অনুপ্রেরণা ওয়াশিংটন সুন্দর বা শুভমন গিলের বাবার মন্তব্য: ‘সেঞ্চুরি করে আসা উচিত ছিল।’ শুধু চেতেশ্বর পুজারা আর প্যাট কামিন্সের বাবারা ছেলেদের কী বলেছিলেন জানা যায়নি বলে খানিক দ্বিধা ও বিবেক কুটকুট, বাচ্চাদের অত মার খেতে বা দিতে বলাটা ঠিক হবে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy