নমুনার জন্য পুরসভার কলের জলও নেওয়া হয়।
কলকাতা পুরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডে গত এক মাসে ১৬ জন জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তবে ওই ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। বাকি দু’জনের এক জন রাজশ্রী ভট্টাচার্য এখন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। আর এক স্থানীয় বাসিন্দা একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন, তবে এখন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
ওই ওয়ার্ডে জন্ডিস সংক্রমণের ঘটনা গত ২৯ মে পুরসভায় জানান এলাকার বাম কাউন্সিলর দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। তার পরেই বৃহস্পতিবার সেখানে চিকিৎসক-দল পাঠায় পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নেতৃত্বে দলের সদস্যেরা বাঘা যতীন সংলগ্ন বিদ্যাসাগর-কেয়াতলা এলাকায় গিয়ে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট এবং জলের নমুনা সংগ্রহ করেন। এ দিন অতীনবাবু জানান, কী ভাবে জন্ডিস ছড়াল, সেই খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ৫২টি জায়গা থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই নমুনা পাঠানো হচ্ছে পরীক্ষাগারে। পাশাপাশি, জলে ক্লোরিনের পরিমাণও পরীক্ষা করেছে চিকিৎসক-দলটি। তাতে অবশ্য ক্ষতিকর কিছু মেলেনি।
ওই এলাকায় জন্ডিসের খবর পেয়ে এ দিন যান ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বরোর স্বাস্থ্য আধিকারিক। পরে তপনবাবু জানান, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর তাঁকে কিছু জানাননি। সংবাদপত্রে খবর দেখে তিনি নিজেই ওই এলাকায় এসেছেন। পরে জানান, প্রাথমিক ভাবে জল থেকে জন্ডিস ছড়াতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাই ওই
এলাকায় থাকা জলের একটি এটিএম বন্ধ করা হয়েছে।
পুরসভার এক চিকিৎসকের কথায়, জলের পাশাপাশি কাটা ফল বা তেলেভাজা থেকেও জন্ডিস হতে পারে। তাই তার প্রকৃত উৎস
খোঁজার চেষ্টা চলছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, দু’-তিন দিনের মধ্যেই জলের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তার পরেই জন্ডিস ছড়ানোর পিছনে কারণ
জানা যাবে।
পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি মেয়র অতীনবাবু জানান, জন্ডিসের প্রকোপ কিছুটা হলেও কমেছে। তবে আজ, শনিবারেও ওই এলাকায় যাবে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎসক-দল। যে সব বাসিন্দার জন্ডিস হয়েছিল, তাঁদের বাড়ি ঘুরবেন দলের সদস্যেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy