Advertisement
১৩ অক্টোবর ২০২৪
Junior Doctors' Hunger Strike

মলের রং কালো, অনুষ্টুপের শরীরে রক্তক্ষরণ কোথা থেকে হচ্ছে? চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করবেন রবিতেই

গত শনিবার, ৫ অক্টোবর থেকে অনুষ্টুপ ধর্মতলায় অনশনে বসেছিলেন। শনিবার সাত দিনের মাথায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাতে তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়।

শনিবার রাতে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়কে।

শনিবার রাতে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়কে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১১:১৮
Share: Save:

অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও তাঁর বিপদ কাটেনি। এমনটাই জানালেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারেরা। শনিবার রাতে ধর্মতলার অনশনমঞ্চে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে রাতেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। সিসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে অনুষ্টুপকে। তাঁর শরীরের ভিতরে কোথাও রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে অনুমান চিকিৎসকদের। রবিবার পরীক্ষা করে দেখা হবে, কোথায় রক্তক্ষরণ হয়েছে।

শনিবার রাতে পেটে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় অনুষ্টুপকে। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেরই জুনিয়র ডাক্তার। গত শনিবার, ৫ অক্টোবর থেকে তিনি ধর্মতলায় অনশনে বসেছিলেন। শনিবার সাত দিনের মাথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুষ্টুপ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অনুষ্টুপের মলের রং কালো। শরীরের ভিতরে কোথাও রক্তক্ষরণ হলে মলের রং কালো হয়। কোথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তা দেখতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হবে রবিবার।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘শরীরের ভিতরে কোথাও রক্তক্ষরণ হলে মলের রং কালো হয়। পেটে এক ধরনের আলসার হয়ে যায়। সাত দিন ধরে তো না খেয়ে আছে। শরীরে জলশূন্যতা রয়েছে। ওষুধ দিয়ে এখন ব্যথা কমানো হয়েছে। এন্ডোস্কোপি করে দেখা হবে কোথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পেটের ব্যথা এখন কমেছে। নাড়ির গতি, রক্তচাপ স্বাভাবিক রয়েছে। রক্তপরীক্ষার রিপোর্ট এলে আরও বিশদে জানা যাবে। সোডিয়াম, পটাশিয়াম পরীক্ষা করা হয়েছে। আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে। সব দিক বিবেচনা করে তাঁকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে সময় লাগবে। এই পর্যায়ে একটু গোলমাল হলেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।’’

অনুষ্টুপকে আপাতত তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে। তিনি সজ্ঞানেই রয়েছেন। তবে এখনও তিনি অত্যন্ত দুর্বল। এখনও তাঁর শরীরে জলশূন্যতা রয়েছে। তবে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন অনুষ্টুপ। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।

এর আগে ধর্মতলার অনশনমঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোও। তাঁকে আরজি কর হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছিল। এ ছাড়া, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে অনশনরত অলোক বর্মাও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ধর্মতলায় এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন বাকিরা। প্রথম দিন থেকে অনশনে রয়েছেন স্নিগ্ধা হাজরা, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, তনয়া পাঁজা, অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্য। শুক্রবার তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আলোলিকা ঘোড়ুই এবং পরিচয় পাণ্ডা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE