চুরি এবং আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে তৃতীয় বারের জন্য ডেকে পাঠানো হল দমদমের জেসপ কারখানার মালিক পবন রুইয়াকে। আগামীকাল, বুধবার তাঁকে ভবানী ভবনে তদন্তকারীদের সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে চিঠি দিয়ে দু’বার ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছিল পবন রুইয়াকে। কিন্তু কোনবারই তিনি গোয়েন্দাদের সামনে হাজির হননি। গত শুক্রবারও তাঁকে ভবানী ভবনে ডেকেছিলেন তদন্তকারীরা। সে দিন পবন নিজে হাজির না হয়ে চিঠি পাঠিয়ে চোদ্দো দিন সময় চেয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, চোদ্দো দিন পরে তিনি তদন্তকারীদের সামনে হাজির হবেন। কিন্তু সিআইডির কর্তারা তাঁকে সেই সময় দিতে নারাজ। তদন্তকারীদের মতে, ১৪ দিন পবন রুইয়াকে সময় দেওয়া মানে তদন্তের অগ্রগতি থেমে যাওয়া। চুরি এবং বারবার আগুন লাগার তদন্তে পবনকে জেরা করা অত্যন্ত জরুরি। তাই সিআইডির শীর্ষকর্তারা শনিবার আলোচনায় বসে পবন রুইয়াকে ফের তদন্তকারীদের সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, পবন রুইয়ার পাশাপাশি জেসপের পরিচালন কমিটির চার সদস্যকেও বুধবার তদন্তকারীদের সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে। ওই চার সদস্য জেসপের বিষয়ে ওয়াকিবহাল বলে তদন্তকারীদের দাবি। এর আগে ওই সংস্থার সিইও এবং জিএমকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীদের মতে, আগের দু’বার গোয়েন্দাদের ডাকে সাড়া না দিলেও তৃতীয়বার ডেকে পাঠানোর পরে আসতেই হবে পবন রুইয়াকে। না এলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারবে সিআইডি।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেসপে বারবার আগুন এবং চুরির ঘটনায় অন্তর্ঘাতের অভিযোগে পবন রুইয়ার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ এবং দমকল। সেই মামলাতে ২৬ অক্টোবর পবনকে প্রথমবার ডেকে পাঠানো হয় সিআইডিতে। সেখানে হাজিরা না দিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে তদন্তকারীদের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে বিচারপতির নির্দেশ ছিল, যতক্ষণ পবন পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করবেন ততক্ষণ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে না পুলিশ। এক সিআইডি কর্তা আদালতের ওই নির্দেশ স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলছেন,‘‘তৃতীয়বারও না এলে ধরে নিতেই হবে যে পবন আদালতের নির্দেশ অমান্য করছেন। তাই আমরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি আদালতকেও সব জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy