Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Jadavpur University Student Death

যাদবপুরে দরজায় দরজায় এআই? যন্ত্রে মুখ দেখিয়ে ঢুকতে হবে হস্টেলে? সব খুঁটিয়ে দেখে গেল ইসরো

বুধবার যাদবপুরে দ্বিতীয় দিন ছিল ইসরোর প্রতিনিধিদের। মঙ্গলবার তাঁরা ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছিলেন। বুধবার যান হস্টেলেও। দরজায় এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে।

ISRO analyses possibilities of using AI in Jadavpur University gates.

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:২৫
Share: Save:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজায় দরজায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় কি না, খতিয়ে দেখে গিয়েছে ইসরো। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধিরা এ-ও দেখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ‘ফেসিয়াল রেকগ্‌নিশন’ প্রযুক্তি প্রয়োগ করা যায় কি না। সে ক্ষেত্রে, যন্ত্রে মুখ দেখিয়ে হস্টেলে প্রবেশ করতে হবে।

বুধবার যাদবপুরে ইসরোর প্রতিনিধিদের দ্বিতীয় দিন ছিল। মঙ্গলবার তাঁরা ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছিলেন। বুধবার যান হস্টেলে। মেন হস্টেলের এ২ ব্লকে যেখান থেকে প্রথম বর্ষের ছাত্র পড়ে গিয়েছিলেন, সেই জায়গাটিও তাঁরা ঘুরে দেখেন। বেশ কিছু বিশেষ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং হস্টেলে ব্যবহার করার বিষয় খতিয়ে দেখা হয়েছে। তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে এআই।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজায় দরজায় এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। প্রয়োজনে হস্টেলের দরজাতেও ওই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। এ ছাড়া, হস্টেলে ‘ফেসিয়াল রেকগ্‌নিশন’ বা মুখ দেখে শনাক্তকরণের প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টিও দেখা হয়েছে। ওই প্রযুক্তির মাধ্যমে হস্টেলে বহিরাগতদের শনাক্ত করা যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

হস্টেলে থাকা পড়ুয়াদের যাবতীয় তথ্যের ডেটাবেস তৈরি করার কথাও আলোচনা করেছেন ইসরোর প্রতিনিধিরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিডিয়ো অ্যানালিটিক্স এবং টার্গেট ফিক্সিংয়ের পরিবেশ আছে কি না, খতিয়ে দেখা হয়েছে তা-ও।

মঙ্গলবার এবং বুধবারের পরিদর্শনে মূলত এই বিষয়গুলি দেখেছেন ইসরোর প্রতিনিধিরা। বুধবারই তাঁরা যাদবপুর ছাড়বেন। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট নিয়ে যাওয়া হবে ইসরোর বেঙ্গালুরুর অফিসে। সেখানে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়ে বিশদে আলোচনার পরেই ইসরোর তরফে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করা হবে।

যাদবপুরে ইসরোর সুপারিশে প্রযুক্তির প্রয়োগের কথা বলেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইসরোর সহায়তা প্রয়োজন। পরে রাজভবনের তরফ থেকে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

যাদবপুরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা আগেই প্রকাশ্যে এনেছিলেন অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর থেকে যাদবপুরে সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি জোরালো হয়। উপাচার্য জানিয়েছিলেন, শুধু সিসিটিভি নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে। বুধবার ইসরোর দলের সঙ্গে ছিলেন উপাচার্য সাউ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy