Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

উপাচার্যকে আঘাত করা উচিত নয়, সরব আচার্য

সোমবার বারাসতে রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘একতা এক জিনিস। আর প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা আর এক জিনিস। পড়ুয়াদের শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে।’’

আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।—ফাইল চিত্র।

আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৩৯
Share: Save:

ছাত্র-বিক্ষোভের সময় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য-নিগ্রহে জড়িত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যপাল তথা আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠীও এ বার জানালেন, পড়ুয়াদের শৃঙ্খলাপরায়ণ হওয়া উচিত। উপাচার্যকে কোনও ভাবেই আঘাত করা উচিত নয় ছাত্রছাত্রীদের।

সোমবার বারাসতে রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘একতা এক জিনিস। আর প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা আর এক জিনিস। পড়ুয়াদের শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে।’’ গত সপ্তাহে যাদবপুরে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে ক্যাম্পাসে ছাত্র-বিক্ষোভে ধস্তাধস্তির মধ্যে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। উপাচার্য-নিগ্রহের অভিযোগ ওঠার পরে শিক্ষামন্ত্রী চান, এই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু উপাচার্য জানিয়ে দেন, তিনি তা চাইছেন না। আপাতত তিনি বিশ্রামে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না।

ওই ঘটনার পরে শুক্রবার থেকে সহ-উপাচার্য প্রদীপকুমার ঘোষকে ঘেরাও করে রেখেছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। এ দিন ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, ছাত্রভোট নিয়ে সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ এবং পড়ুয়াদের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকতে হবে। এ বিষয়ে সহ-উপাচার্য এ দিন উচ্চশিক্ষা দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য বারে বারেই জানিয়েছেন, যাদবপুরের ছাত্র সংসদের ভোট রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনের সঙ্গেই হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেটা সম্ভব নয়। শুক্রবার থেকে টানা ঘেরাওয়ের জেরে সহ-উপাচার্যের শারীরিক পরীক্ষার জন্য চিকিৎসক ডাকতে হয়। চিকিৎসক তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিলেন।

পড়ুয়াদের দাবিদাওয়া নিয়ে ডিন এবং শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন সহ-উপাচার্য। পরে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের বোঝান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য ও পদার্থবিদ্যার শিক্ষক পার্থপ্রতিম রায়। তার পরে পড়ুয়ারা ঘেরাও তুলে নেন। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল, গত সপ্তাহের ঘটনার পর থেকে টিএমসিপি-সমর্থকেরা কিছু প্রতিবন্ধী পড়ুয়াকে ভয় দেখাচ্ছে। এই নিয়ে তদন্ত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। উপাচার্যকে হেনস্থার ঘটনা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার যে-তদন্ত কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে থাকবেন প্রাক্তন দুই ডিন এবং এখনকার চার জন ডিন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE