মা উড়ালপুলের এমন জায়গাতেই ঘটনাটি ঘটে।—ফাইল চিত্র।
মা উড়ালপুলে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কা থেকে কোনওমতে বাঁচলেন হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। শনিবার রাত ১১টা নাগাদ মা উড়ালপুল ধরে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের দিকে যাচ্ছিলেন বিচারপতি। গাড়িতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন দেহরক্ষী বাদল দে। কলকাতা পুলিশের কর্মী বাদল দে-র দায়ের করা অভিযোগ অনুসারে, ঘটনাটি ঘটে তপসিয়ার কাছে যেখানে মা উড়ালপুল থেকে পশ্চিমমুখী গাড়িগুলি এজেসি বোস ফ্লাই ওভারে পৌঁছতে নতুন কাটআউটটি ধরে।
বাদলবাবুর অভিযোগ অনুসারে, পিছন দিক থেকে একটি গাড়ি অত্যন্ত বেপরোয়াভাবে এগিয়ে আসে। ওই গাড়িটি বিচারপতির গাড়িকে ওভারটেক করে কাটআউটে ঢোকার চেষ্টা করে। মা উড়ালপুলের থেকে ওই নতুন কাটআউটের প্রস্থ অনেকটা কম। ফলে পিছন থেকে আসা গাড়িটি ওভারটেক করতে গিয়ে প্রায় ধাক্কা মারার উপক্রম হয়। চালক সতর্ক থাকায় কোনওক্রমে সংঘর্ষ এড়ায় বিচারপতির গাড়ি।
বাদলবাবুর অভিযোগ, বিচারপতির গাড়িচালক ওই বেপরোয়া গাড়ির চালককে সতর্ক করার চেষ্টা করলে উল্টে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরিস্থিতি জটিল বুঝে বাদলবাবু পূর্ব ট্রাফিক গার্ডে ফোন করেন এবং ওই গাড়িটিকে ধরার অনুরোধ করেন। তবে, তার আগেই বিচারপতির গাড়ি তাড়া করে ওই গাড়িটিকে ধরে ফেলে পুলিশ। ঘটনাস্থলে আসেন পূর্ব ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্টরা। তাঁরা ওই গাড়ির চালককে আটক করে ব্রিথ অ্যানালাইজার দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন যে চালক বিধি সম্মত সীমার বেশি মদ্যপান করে গাড়ি চালাচ্ছেন। বালিগঞ্জ প্লেসের বাসিন্দা গাড়ির মালিক সৌমিক পাণ্ডেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গাড়িতে তাঁর আরও তিন বন্ধু ছিলেন। জেরায় জানা যায়, ওই চারজন সেক্টর ফাইভের একটি পানশালায় মদ্যপান করে ফিরছিলেন। অভিযুক্ত চালককে বেনিয়াপুকুর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ সৌমিককে বিপজ্জনক ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: অভিষেকের নিরাপত্তায় বাড়াবাড়ির অভিযোগ তুলে দড়ির ব্যারিকেড খুলে দিলেন বাবুল
আরও পড়ুন: জটিল হচ্ছে গোয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসরে নিতিন গডকড়ী, রাতভর বৈঠক শরিক দলগুলোর সঙ্গে
মা উড়ালপুল ধরে বেশি রাতে যাঁরা নিয়মিত যাতায়াত করেন তাঁদের একটা বড় অংশরই অভিযোগ, এই ধরনের বেপরোয়া গাড়ি নিয়ে। সল্টলেকের এক বাসিন্দা বলেন, “প্রায়ই মা উড়ালপুলের উপরে কিছু গাড়ি রেষারেষি করে। ওভারটেক করার চেষ্টা করে। জায়গা না দিলে উল্টে গালিগালাজ করে। বহুবার পুলিশকে বলে হয়েছে। কিন্তু এদের দাপট কমেনি।”
ট্রাফিকের এক আধিকারিক স্বীকার করেন, মা উড়ালপুলে রাতের দিকে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। স্পিড ক্যামেরা বসিয়েও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।
(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy