শহরের হেরিটেজ ভবনগুলির একটি এই কলকাতা জাদুঘর। —ফাইল চিত্র।
লন্ডনের ধাঁচে এ বার শহরের হেরিটেজ ভবনগুলিতেও নীল ফলক লাগানো হতে পারে। ওই ফলকে সেই ভবনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও বিবরণের পাশাপাশি কেন ওই ভবন হেরিটেজ হিসেবে ঘোষিত হল, তারও উল্লেখ থাকবে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনা হয়ে গিয়েছে বলে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন সূত্রের খবর।
কমিশনের আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই কোনগুলি হেরিটেজ ভবন আর কোনগুলি নয়, তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন না। সেই জন্যই ওই নীল ফলক লাগানো হতে পারে। তবে শুধু কলকাতাতেই নয়, জেলার হেরিটেজ ভবনগুলির ক্ষেত্রেও ওই পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে কমিশন সূত্রের খবর। যদিও কোন কোন ভবনে তা লাগানো হবে, এখনও তা চূড়ান্ত হয়নি। প্রাথমিক ভাবে সেই তালিকা তৈরির কাজ সবে শুরু হচ্ছে। কমিশনের পদস্থ এক কর্তার কথায়, ‘‘হেরিটেজ ভবনগুলিতে নীল ফলক লাগানোর জন্য আলোচনা চলছে। ওই ভবনগুলির ঐতিহ্য সম্পর্কে সাধারণ মানুষ যাতে সহজেই সচেতন হতে পারেন, তাই আলাদা ভাবে চিহ্নিত করার এই প্রয়াস।’’
তবে এ ক্ষেত্রে একটি সমস্যাও রয়েছে বলে কমিশন সূত্রের খবর। কলকাতায় যে হেতু পুরসভার হেরিটেজ কমিটিই হেরিটেজ ভবনগুলির চিহ্নিতকরণ ও ঘোষণার কাজ করেছে, তাই সেই সমস্ত ভবনে ওই নীল ফলক লাগানো হবে কি না, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কারণ, হেরিটেজ কমিটি ও হেরিটেজ কমিশন, কেউই পরস্পরের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। তাই শহরে পুরসভা-ঘোষিত যে ক’টি হেরিটেজ ভবন রয়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে কমিশন সূত্রের খবর। কমিশন যেগুলিকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেগুলিতে নীল ফলক লাগানোর ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। ওই কমিশনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘পুরসভার হেরিটেজ কমিটির কাজে আমরা হস্তক্ষেপ করি না। ওরা শুধু শহরে কাজ করে। আমাদের শহর ও জেলা, উভয় স্তরেই কাজ করতে হয়। শহরে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই নীল ফলক লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy