Advertisement
২১ নভেম্বর ২০২৪
Calcutta Medical College and Hopsital

নির্বাচনের দাবিতে মেডিক্যালের আন্দোলতরত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে অনশনে অভিভাবকরা

অনশনকারীদের মধ্যে প্রতিমা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের নানা দাবিপূরণের জন্যই নির্বাচিত ছাত্র সংসদ থাকা প্রয়োজন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাতে নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করছে।”

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে প্রতীকী অনশনে অভিভাবকরা।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে প্রতীকী অনশনে অভিভাবকরা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:২২
Share: Save:

এ বার মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনরত পড়ুয়াদের পাশে এসে দাঁড়ালেন তাঁদের অভিভাবকরাও। পূর্বনির্ধারিত সূচি মোতাবেক বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসলেন তাঁরা। সকাল ৯টা নাগাদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে বসেন ৮ জন অভিভাবক। পড়ুয়ারা কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণার যে দাবি তুলেছেন, সেই দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করে তাঁদের দাবি, সন্তানদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতেই তাঁরা সেখানে এসেছেন।

অনশনকারী অভিভাবকদের মধ্যে ৫ জন মেদিনীপুর জেলা থেকে এসেছেন। অন্য ৩ জন কলকাতারই বাসিন্দা। অনশনকারীদের মধ্যে প্রতিমা গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “পানীয় জল, হস্টেল-সহ ছাত্রছাত্রীদের নানা দাবিপূরণের জন্যই নির্বাচিত ছাত্র সংসদ থাকা প্রয়োজন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাতে সংসদ নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করছেন।” তাঁর পুত্র সৌম্যজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও একই দাবিতে আন্দোলন করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অভিভাবকদের প্রতীকী অনশনের পাশাপাশি একটানা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারাও। বৃহস্পতিবার তাঁদের অনশন ৭ দিনে পড়ল। টানা ১৬৮ ঘণ্টা অনশন করার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একাধিক পড়ুয়া। প্রথমে ৫ জন পড়ুয়া অনশনে বসেছিলেন। পরে আরও ২ জন পড়ুয়া অনশনে বসেন। কিন্তু পরে এক পড়ুয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে হাসপাতালের জেনারেল ওয়ার্ডে ওই পড়ুয়ার চিকিৎসা চলছে। আপাতত ৬ জন পড়ুয়া অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের এই অনশন নিয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বুধবার পড়ুয়াদের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেখানে ছাত্র সংসদের নির্বাচন না হওয়ার জন্য সরাসরি সরকারকে দায়ী করা হয়। সরকার মেডিক্যাল কলেজকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই নানা অজুহাতে নির্বাচনে পিছিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পড়ুয়ারা। এর পাশাপাশি বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের তরফে শনিবার একটি নাগরিক কনভেনশনেরও ডাক দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের পর থেকে মেডিক্যালে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ আগে জানিয়েছিলেন, ২২ ডিসেম্বরের যে নির্বাচন তার নিয়মকানুন নিয়ে বিস্তারিত ভাবে জানানো হবে। কিন্তু তা-ও হয়নি। পরে এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। মেডিক্যালের প্রশাসনিক ব্লকে ঘেরাও করা হয় অধ্যক্ষ-সহ বহু বিভাগীয় প্রধানকে। বিক্ষোভের জেরে রোগীরা বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

অন্য বিষয়গুলি:

Calcutta Medical College and Hopsital Hunger strike
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy