বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
শহরাঞ্চলে বনসৃজনের পরিকল্পনা থাকলেও অনেক সময়েই তা বাস্তবায়িত করা যায় না জমির অভাবে। এর সমাধানে বনসৃজন প্রকল্পে বিভিন্ন সরকারি দফতরকে অন্তর্ভুক্ত করায় সাফল্য মিলেছে বলে দাবি বন দফতরের। কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এক বছরে শহর ও আশপাশের প্রায় ১৪ হেক্টর জমিতে বনসৃজন সম্ভব হয়েছে বলে দফতরের দাবি। মূলত ফোর্ট উইলিয়ামের আশপাশের এলাকা, তারাতলা এবং ব্যারাকপুরে এই কাজ হয়েছে।
রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা করতে বনসৃজনের প্রয়োজন। অনেক সময়েই শহরাঞ্চলে জমি পেতে সমস্যা হয়। সেই কারণে শহরাঞ্চলে সরকারি এবং বেসরকারি অনেক সংস্থাকে বনসৃজন প্রকল্পে অংশ নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। জমির জন্যেও তাদের কাছে আবেদন করা হয়েছে।’’
দফতরের এক আধিকারিক জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে চারা রোপণ করা ছাড়াও সেচ দফতর এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ওই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতায় গঙ্গার ধারে বনসৃজনের পরিকল্পনাও করেছে বন দফতর। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ ধোবিতলায় নিজেরাই বনসৃজন করেছে। ইতিমধ্যেই বাইপাসে মেট্রোপলিটন খালের দু’ধারে সেচ দফতরের উদ্যোগে বনসৃজন হয়েছে। রাজারহাট এলাকায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের উদ্যোগে চারা পোঁতা হয়েছে।
বন দফতরের (আর্বান ফরেস্ট্রি) উপ মুখ্য বনপাল রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, ‘‘শহরে বনসৃজনের জন্য বিভিন্ন দফতর বন দফতরকে অর্থ বরাদ্দ করেছে। সেই অর্থেই চারা রোপণ করা হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে বনসৃজন অন্তর্ভুক্ত করা গেলে শহরে সবুজের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যাবে।’’ রাজ্য বন দফতর সূত্রের খবর, ২০১৯-’২০ সালে সেচ দফতর চার হাজার গাছ পুঁতেছে। এ ছাড়া দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে ১৬ হাজার এবং ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে ৮৩ হাজার গাছের চারা লাগানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy