—প্রতীকী ছবি।
১০-১৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য ও ১০০-১৫০ গ্রাম ওজনের অগ্ন্যাশয়ের (প্যানক্রিয়াস) মধ্যে ২৫৬টি পাথর! সব থেকে বড়টি দু’সেন্টিমিটার। সম্প্রতি সে সবই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বার করে ভিন্ রাজ্যের এক রোগীকে সুস্থ করে ঘরে ফেরালেন এ শহরের চিকিৎসকেরা।
গত ছ’মাস ধরে পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন বছর আঠাশের যুবক শেখ আনজারুল ইসলাম। ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ের বাসিন্দা ওই যুবকের পেট থেকে যন্ত্রণা পিঠে ছড়িয়েছিল। যার জেরে তাঁর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছিল বলে জানাচ্ছে তাঁর পরিবার। অস্ত্রোপচারের পরে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে দু’মাস বিশ্রামে থাকবেন বলে জানাচ্ছেন যুবকের দাদা শেখ মানজারুল ইসলাম।
শল্য চিকিৎসক সঞ্জয় মণ্ডলের নেতৃত্বে সুমন মণ্ডল এবং অ্যানাস্থেটিস্ট সৌরভ মুখোপাধ্যায় এই অস্ত্রোপচার করেন। সঞ্জয়বাবু বলেন, ‘‘যে নালি পথে অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন খাদ্যবস্তু পরিপাকের জন্য যায়, সেখানে পাথরগুলি জমা ছিল।’’ তিনি জানান, অগ্ন্যাশয়ে পাথর সচরাচর শোনা যায় না। মূলত ক্রনিক প্যানক্রিয়াটিক রোগীদের একাংশের এটি হয়।
ওই চিকিৎসক জানান, এ ক্ষেত্রে ফ্রেজ় পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারটি হয়েছে। এই অস্ত্রোপচার করতে লেগেছে চার ঘণ্টা। পাথরগুলি বার করার পরে নষ্ট হওয়া অগ্ন্যাশয়ের মাথার অংশ বাদ দেওয়া হয়। নালিপথ খুলে বাইপাস করা হয় খাদ্যনালির সঙ্গে। ফলে অগ্ন্যাশয়ের হরমোন পাচন প্রক্রিয়ায় আগের মতোই সাহায্য করে।
গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট সৃজন মজুমদার বলেন, “অগ্ন্যাশয়ে এত পাথর থাকার কথা শোনা যায় না। সেগুলি বার করা বড় সাফল্য। কারণ, অগ্ন্যাশয়ের অবস্থানের কারণে ওখানে যে কোনও অস্ত্রোপচার করাই কঠিন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy