বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনের রাস্তার উপরে থাকা গেটগুলি কী ভাবে রং করে দৃষ্টিনন্দন করে তোলা যায়, শুক্রবার তা সরেজমিন দেখতে বেরিয়েছিলেন মেট্রোর অফিসারেরা। মেট্রো সূত্রের খবর, সম্প্রতি একটি রঙের সংস্থা তাদের জানায়, পুজোর আগে ছবি এঁকে তারা কলকাতাকে সাজাতে চায়। সে জন্য মেট্রোর কতগুলি দেওয়াল তাদের প্রয়োজন। রং সংস্থার আবেদনের বিষয়টি মাথায় রেখে মেট্রোর তরফে দেওয়াল চিহ্নিত করতে বেরিয়েছিলেন অফিসারেরা।
যাত্রীরা মেট্রোর এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁদের বক্তব্য, স্টেশনের বহিরঙ্গের হাল ফেরাতে মেট্রো কর্তৃপক্ষ যতটা তৎপর, দৈনন্দিন পরিষেবার ক্ষেত্রে তাদের এই তৎপরতা চোখে পড়ে না। মেট্রোর কর্মসংস্কৃতি একেবারে ডুবে গিয়েছে। মরচে ধরেছে পরিকাঠামোতেও। যা স্পষ্ট ট্রেনের দরজা বন্ধ না হওয়া থেকে সময় মতো ট্রেন না চলা এবং মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন স্টেশনে চলমান সিঁড়ি বিকল থাকার ঘটনায়। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ নিয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন। তাঁরা বলছেন, ‘ট্রেন ঠিক মতোই তো চলছে।’
কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ থেকে পরিষ্কার, মেট্রো পরিষেবা আস্তে আস্তে বেআব্রু হয়ে পড়ছে। বর্তমানে সেন্ট্রাল ও চাঁদনি চক স্টেশনের একটি করে চলমান সিঁড়ি দীর্ঘদিন বিকল। দমদম স্টেশনেও মেট্রোর কর্তারাই যাত্রীদের জানাতে লিখে রেখেছিলেন, সিঁড়ি আবার চালু হবে ১৪ অগস্ট থেকে। তার পরে এক সপ্তাহ হতে চললেও আজও তা চালু হয়নি। কবে ওই সিঁড়ি ঠিক হবে, জানাতেও পারেননি কেউ।
এ দিন আবারও মেট্রো কর্তাদের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাঁদের একই উত্তর, ‘শীঘ্রই ঠিক হয়ে যাবে।’ অথচ দমদম স্টেশনে ওই সিঁড়ির পাশে পোস্টারের কাগজ সেঁটে সিঁড়ি চালু হওয়ার তারিখটি ঢেকে দিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy