Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

রবি-সন্ধ্যায় শহর জুড়ে যেন অষ্টমীর ঢল

বৃষ্টি-নিম্নচাপের ঠেলা সামলে শহরবাসী সপরিবার বাজারমুখী। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণের এই কেনাকাটার ভিড় দেখে মালুম হতে পারে অষ্টমীর সন্ধ্যায় কোনও বড় মণ্ডপে প্রতিমা দর্শনের প্রতীক্ষা।

জনারণ্য: পুজোর বাজার করতে ভিড়। গড়িয়াহাটের শপিং মলে। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

জনারণ্য: পুজোর বাজার করতে ভিড়। গড়িয়াহাটের শপিং মলে। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:২৪
Share: Save:

পুজোর আগে হাতে মাত্র তিনটি রবিবার। এ দিন তাই বেলা গড়াতেই ক্রেতার ঢল নামতে দেখে বিক্রেতাদের মুখেও চওড়া হাসি দেখা গিয়েছিল।

বৃষ্টি-নিম্নচাপের ঠেলা সামলে শহরবাসী সপরিবার বাজারমুখী। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণের এই কেনাকাটার ভিড় দেখে মালুম হতে পারে অষ্টমীর সন্ধ্যায় কোনও বড় মণ্ডপে প্রতিমা দর্শনের প্রতীক্ষা। গড়িয়াহাটের শপিং মলের সাউন্ড বক্সে ঢাকের বাদ্যি শুনে এক ক্রেতা বলেই ফেললেন, ‘‘এই আওয়াজই বলে দিচ্ছে পুজো শুরু হয়ে গেল।’’ এক বিক্রেতা হাসি মুখে বলেই দিলেন, ‘‘রবিবারের বিকেলে পুজো বাজার একেবারে ফিফথ গিয়ারে ছুটে চলা গাড়ির মতো পিক আপ নিয়ে নিয়েছে। চিন্তা কী?’’

গড়িয়াহাট বাজারের ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে গিয়েই অবশ্য সেই কথার সত্যতা বোঝা গেল। থিকথিকে ভিড়ে ফুটপাতে দমবন্ধ হওয়ার জোগাড়। এ দিকে রাস্তা দিয়েও হাঁটার উপায় নেই। কারণ, মানুষের ভিড়ে থরে থরে গাড়ি দাঁড়িয়ে যানজট তৈরি হয়েছে। উত্তরের হাতিবাগান, দক্ষিণের গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট সর্বত্র এক দিকে শপিং মলের ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’-এর হাতছানি। অন্য দিকে, ফুটপাতের দোকানিদের চিৎকার, ‘এর থেকে সস্তা আর কোথাও মিলবে না’।

পুজোর বাজার করতে ভিড়। নিউ মার্কেটে। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

সালোয়ার কামিজ থেকে শাড়ি, লো ওয়েস্ট জিনস— প্রায় সবেতেই একটি কিনলে অন্যটি ফ্রি পাওয়ার অফারে উপচে পড়ছে নিউ মার্কেটের বাজার চত্বর। অনলাইনে কেনাকাটার যুগেও এত ভিড় ঠেলে দোকানে আসতে ইচ্ছে করে? প্রশ্নটা শুনে পিয়ালী চৌধুরির উত্তর, ‘‘পুজোর বাজার অনলাইনে কেনা পোষায় না। হাতে ধরে, দেখে কেনার মজাই আলাদা। এর পরে রেস্তরাঁয় খাওয়াদাওয়া তো সারতে হবে। সেটা অনলাইনে সম্ভব!’’

কোলে তিন বছরের ঘুমন্ত বাচ্চাকে নিয়েই হাতিবাগান বাজার চষে ফেলেছেন দমদমের নিরুপমা দত্ত। নিরুপমা বলেন, ‘‘ছেলে কোলে নিয়ে ঘেমে একসা হতে হল ঠিকই। কিন্তু হাতিবাগানে না এলে মনেই হয় না যে পুজো আসছে।’’ জামাকাপড়ের পাশাপাশি এ দিন খুশি ফুটপাতের খাবার ব্যবসায়ীরাও। ‘‘পুজোর আগে পর্যন্ত এমনই কেনাকাটার রাশ যেন থাকে। তা হলে আমরাও লাভের মুখ দেখতে পারি।’’ বলে উঠলেন হাতিবাগানের ফুটপাতের খাবারের একটি স্টলের কর্মচারী। চিকেন রোলে কামড় দিয়ে উল্টোডাঙার বাসিন্দা অশোক বসু বলেন, ‘‘এত ভিড় যে চার ঘণ্টাতেও পুরো কেনাকাটা শেষ হল না। আবহাওয়া ভাল থাকলে সামনের রবিবার ফের বেরোব।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Durgapuja Shopping Malls Market Festival
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE