ফাইল চিত্র।
সম্প্রতি শুরু হয়েছে পরিবহণকর্মীদের প্রতিষেধক দেওয়ার কর্মসূচি। বুধবার, সেই কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন অনেকটাই মসৃণ ভাবে কাটল। যদিও কিছুটা তাল কেটেছে ময়দান তাঁবুতে সাময়িক হট্টগোল। রাজ্য পরিবহণ নিগমের হাওড়া, তারাতলা ও সল্টলেক ডিপো এবং কলকাতা পুরসভার ময়দান তাঁবু মিলিয়ে এ দিন প্রায় ১২০০ পরিবহণকর্মীকে প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সূচনার দিনে সব জায়গা থেকে গড়ে ১০০ জন কর্মীকে প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হলেও সর্বত্র তা পূরণ করা যায়নি। হাওড়া এবং তারাতলায় প্রতিষেধক পেতে অনেককেই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। হাওড়ায় এই কর্মসূচি শুরু হতে দুপুর গড়িয়ে যায়। কোথাও কোথাও প্রতিষেধকের ডোজ়ের সমবণ্টন না হওয়ার জন্যও সমস্যা দেখা দেয় বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি আঁচ করে বুধবার অনেকটাই সতর্ক ছিলেন কর্তৃপক্ষ। ৪৫-এর ঊর্ধ্বে এবং ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের জন্য পৃথক লাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যদিও দুপুরের দিকে ময়দান তাঁবুতে প্রতিষেধক নিতে আসা পরিবহণকর্মীদের ভিড়ের কারণে পরিস্থিতি সাময়িক ভাবে অশান্ত হয়ে ওঠে। বাসকর্মীদের একাংশ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে হইচই শুরু করে দেন। কার্যত বচসার পরিস্থিতি তৈরি হয়। শেষমেশ পুলিশের উপস্থিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
রাজ্য পরিবহণ নিগমের তিনটি ডিপো— তারাতলা, হাওড়া ও সল্টলেকের প্রতিটিতে দৈনিক ৫০০ জন পরিবহণকর্মীকে প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হলেও কোথাও তা পূরণ করা যায়নি। তবে, নিগমের সল্টলেক ডিপো এবং পুরসভার ময়দান তাঁবুতে
প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ তুলনামূলক ভাবে ভাল হয়েছে। ওই দুই জায়গায় গড়ে প্রায় সাড়ে চারশো কর্মী প্রতিষেধক নিয়েছেন। পাশাপাশি তারাতলায় প্রায় ২০০ জন, হাওড়া ডিপোয় ২২০ জন এবং পুরসভার ময়দান তাঁবুতে ৩৬০ জনকে এ দিন প্রথম ডোজ় দেওয়া হয়েছে। পরের ধাপে কলকাতায় আরও তিনটি প্রতিষেধক প্রদান কেন্দ্র চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সারা রাজ্যে ধাপে ধাপে ৩.৩ লক্ষ পরিবহণকর্মীকে প্রতিষেধক দানের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy