Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

আবর্জনায় ভরা শ্মশান, নিত্য দুর্ভোগ

গঙ্গার পাড় পরিচ্ছন্ন রাখার জন্যই বজবজে তৈরি হয়েছিল বৈদ্যুতিক চুল্লি। গঙ্গার দূষণ রোধের বিষয়টিও ভাবনায় ছিল। কিন্তু বজবজ শ্মশানের সামনের অবস্থা দেখলে সেই পরিকল্পনা কতদূর সফল হয়েছে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। শ্মশান পরিসর নোংরা আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। নোংরা জল এসে মিশছে গঙ্গায়।

আস্তাকুঁড়ে: জমে রয়েছে আবর্জনা। ছবি: অরুণ লোধ

আস্তাকুঁড়ে: জমে রয়েছে আবর্জনা। ছবি: অরুণ লোধ

সুপ্রিয় তরফদার
শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৭ ০১:২০
Share: Save:

গঙ্গার পাড় পরিচ্ছন্ন রাখার জন্যই বজবজে তৈরি হয়েছিল বৈদ্যুতিক চুল্লি। গঙ্গার দূষণ রোধের বিষয়টিও ভাবনায় ছিল। কিন্তু বজবজ শ্মশানের সামনের অবস্থা দেখলে সেই পরিকল্পনা কতদূর সফল হয়েছে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। শ্মশান পরিসর নোংরা আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। নোংরা জল এসে মিশছে গঙ্গায়।

ওই চত্বরে মন্দির এবং গঙ্গা পারাপারের জন্য ঘাট থাকায় অনেকে যাতায়াত করেন। সেখানে ওই নোংরা জমে থাকাটা যথেষ্ট অস্বস্তিকর বলেই মত সাধারণ মানুষের।

ঘাট থেকে চুল্লির দিকে যাওয়ার রাস্তা সরু হয়ে গিয়েছে। তার পাশেই পড়ে থাকে ছেঁড়া লেপ, বালিশ, খাট, কাপড় এবং পচা ফুল। আগে সেখানে ফুলের গাছ ছিল বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এখন সেখানে ফুলের দেখা তো মেলেই না, উল্টে ছড়ায় দুর্গন্ধ। দু’একদিনের বৃষ্টিতে রাস্তার পাশ থেকে তা গড়িয়ে চলে এসেছে রাস্তায়। শবদেহ নিয়ে সেখানে যেতে গেলে ওই নোংরার উপর দিয়েই যেতে হয়। নিয়ম মতে সেগুলি প্রতি দিন সরিয়ে ফেলার কথা। বজবজ পুরসভার অন্তর্গত হওয়ায় নোংরা পরিষ্কার করা কথা পুরসভারই। কিন্তু প্রতি দিন সেই নোংরা পরিষ্কার করা হয় না বলেই অভিযোগ।

পাশাপাশি গঙ্গার যে ঘাট রয়েছে সেখানেও একই ভাবে নোংরা আবর্জনা পড়ে থাকে। শবদাহের পরে যাঁরা গঙ্গায় স্নান করেন, তাঁরা সেখানেই বর্জ্য ফেলে যান বলে অভিযোগ। ফলে গঙ্গা দূষিত হয়। এই সমস্ত কাজ দেখাশোনার জন্য পুরসভার কোনও লোকের দেখা মেলে না।

স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, ‘‘বজবজের বাসিন্দারা এই চুল্লিতে শবদাহের জন্য আসেন। কিন্তু এখানে আসার পরে সকলেরই খুব বাজে অভিজ্ঞতা হয়। চার দিকে যে ভাবে নোংরা আবর্জনা ছড়িয়ে থাকে তা অস্বস্তিকর।’’ সম্প্রতি কলকাতার গঙ্গার পাড়কে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। বজবজেও পাড় বাঁধিয়ে সাধারণ মানুষের বসার জায়গা করেছে পুরসভা। কিন্তু সেখানে শশ্মানকে ঘিরে এমন নোংরা পড়ে থাকা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ।

বজবজ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত লেন, ‘‘প্রতি দিন না হলেও এক দিন ছাড়া ছাড়া পরিষ্কার করা হয়।’’ তিনি জানান, কর্মীর সংখ্যা কম থাকার কারণে প্রতি দিন পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা এ বিষয়ে সচেতন। কোনও ভাবেই শ্মশানের আশেপাশে নোংরা জমতে দেব না।’’ তবে এলাকায় ফুলের গাছ বসিয়ে নোংরা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা যায় বলে মত এক পুরকর্তার। এ বিষয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Crematory Garbages
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE