Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

বৈঠক হয়নি, ভর্তি-জট কাটল না শ্যামাপ্রসাদে

সমস্যা মেটাতে বৈঠক ডাকা হলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এক পক্ষের অভিযোগ, অন্য পক্ষ নির্ধারিত দিনে হাজিরই হননি। শনিবারের সেই বৈঠক না-হওয়ায় শ্যামাপ্রসাদ কলেজে ভর্তি নিয়ে জটিলতা কাটেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৫ ০২:২৮
Share: Save:

সমস্যা মেটাতে বৈঠক ডাকা হলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এক পক্ষের অভিযোগ, অন্য পক্ষ নির্ধারিত দিনে হাজিরই হননি। শনিবারের সেই বৈঠক না-হওয়ায় শ্যামাপ্রসাদ কলেজে ভর্তি নিয়ে জটিলতা কাটেনি।

কয়েক দিন আগে গোলমালের জেরে ওই কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া থমকে যায়। দফায় দফায় ঘেরাও-অবস্থানের জেরে সেই কাজ এখনও বন্ধই আছে। ঝামেলার সূত্রপাত ১৩ জুলাই, ২০১৫-’১৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক স্তরে প্রথম বর্ষে ভর্তি চলাকালীন। অন্যান্য কলেজে ভর্তিতে অনিয়মের ক্ষেত্রে মূলত যাদের দিকে আঙুল উঠছে, শ্যামাপ্রসাদে সেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-ই অভিযোগকারীর ভূমিকায়। ওই কলেজে শাসক দলের ছাত্র শাখা পরিচালিত ছাত্র সংসদ অভিযোগ তোলে, ভর্তি প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হচ্ছে। সেই অনিয়মের প্রতিকারের দাবিতে তারা কলেজের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের ঘেরাও করে রাখে। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অকারণেই আন্দোলনে নেমে ভর্তি প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সে-দিনের মতো ঘেরাও উঠে যায়।

কিন্তু তার পর থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। ভর্তির কাজ শুরু করা তো দূরের কথা, অপমানিত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীরা কলেজে আসাই বন্ধ করে দেন। প্রায় ন’দিন পরে, ২২ জুলাই তাঁরা আবার কলেজে যান। কিন্তু ফের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা করায় ছাত্রছাত্রীদের একাংশ আবার তাঁদের ঘেরাও করে রাখে বলে অভিযোগ।

কলেজ সূত্রের খবর ভবানীপুর থানার ওসি-র মধ্যস্থতায় রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘেরাও ওঠে। সেখানেই ঠিক হয়, ২৫ জুলাই, শনিবার শিক্ষকেরা আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং সেই বৈঠকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, সে-দিন তাঁদের প্রতিনিধিরা হাজির হলেও কোনও শিক্ষক আসেননি।

ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌভিক দাস বলেন, ‘‘আমরা বারবার আমাদের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই আমাদের কথায় কান দিচ্ছেন না। কর্মীরা কলেজেও আসছেন না। ফলে গোটা ভর্তি প্রক্রিয়াই থমকে আছে। আমরা পরিস্থিতি অবিলম্বে স্বাভাবিক করার দাবি জানাচ্ছি।’’ কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি সচ্চিদানন্দবাবু বলেন, ‘‘আমরা মঙ্গলবার সাধারণ সভা থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। দ্রুত ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে চাই।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE