কলকাতা মেট্রোর পাঁচ-পাঁচটি প্রকল্প সম্পূর্ণ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল চলতি বছরের জুন মাস। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাজের যেমন অগ্রগতি, তাতে পাঁচটির মধ্যে চারটি প্রকল্পই শেষ হওয়া তো দূর, অর্ধেকও কাজ হয়নি। একমাত্র নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর প্রকল্পের সিংহভাগ কাজ হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলির ক্ষেত্রে বাধা মূলত জবরদখল। ওই প্রকল্পগুলির কোথায় কোন বাধা আছে, সোমবার তা সরেজমিন জেনে গেলেন রেল প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোহাঁই। মেট্রো কর্তাদের মন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, জবরদখলের বাধা কাটাতে এ বার সরাসরি রেল বোর্ডের কর্তাদের আসরে নামতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরও জানান, কী ভাবে প্রকল্পগুলির বাধা কাটিয়ে চটজলদি কাজ শুরু করে সময়ে শেষ করা যায়, তা খতিয়ে দেখবেন রেল বোর্ডের কর্তারা। জমি পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় সংস্থার অনুমতি এখনও মেলেনি মেট্রোর। ফলে সেখানেও আটকে রয়েছে কাজ। ওই সব সংস্থার অনুমতির বিষয়টি নিয়েও কথা বলবে রেল বোর্ড।
মেট্রো কর্তারা জানান, পাঁচটির মধ্যে একমাত্র নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর প্রকল্পের কাজ বেশির ভাগটাই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, কামারহাটি পুর এলাকায় একটি জমিতে সামান্য কয়েকটি বাড়ি সরাতে না পারায় আটকে গিয়েছে বাকি অংশের কাজ। ফলে, কার্যত পুরো প্রকল্পই এখন আটকে। রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করার পরেও ওই পরিবারগুলিকে সরানো যায়নি। অথচ মেট্রোর বক্তব্য, ওই পরিবারগুলিকে অন্যত্র পাঠাতে পারলে এই প্রকল্পটি চার-পাঁচ মাসের মধ্যেই চালু করে দেওয়া সম্ভব হতো। মেট্রো কর্তাদের বক্তব্য, নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর প্রকল্প চালু হলে গঙ্গার দু’পারের বহু মানুষ উপকৃত হতেন। নিত্যদিনের লোকাল ট্রেনের যাতায়াতের কষ্টও অনেকটা কমে
যেত তাঁদের।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পরও অবস্থাটা প্রায় একই। সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত কাজ করতে পারলেও দ্বিতীয় পর্যায়ের অনেকটা পথের জমি নিয়ে এখনও রয়ে গিয়েছে সমস্যা। ২০১৯ সালের মধ্যে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে কি না, তা নিয়েও সংশয়ে খোদ মেট্রো কর্তারাই। তবে তাঁরা মনে করছেন, সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল আগামী বছরের জুন মাস নাগাদ শুরু হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy