Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Daribhit Incident

দাড়িভিট কাণ্ডে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের, আর্থিক সাহায্য দিতে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ইসলামপুরের দাড়িভিট হাই স্কুল। অবরোধ, লাঠিচার্জ, ইট-পাথর ছোড়া থেকে শুরু করে বোমা-গুলিও চলে বলে অভিযোগ।

Calcutta High Court directs NIA investigation in Islampur Daribhit students death case

দাড়িভিট কাণ্ডের শুনানিতে বিচারপতি মান্থা আগেই জানিয়েছিলেন, এই তদন্তের গতিপ্রকৃতি বলছে, বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২৩ ১১:২৫
Share: Save:

দাড়িভিটে গুলিতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার এই মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, দাড়িভিটের ঘটনায় বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ আগেই ছিল। তাই এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে অবিলম্বে আর্থিক সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাই স্কুল। অবরোধ, লাঠিচার্জ, ইট-পাথর ছোড়া থেকে শুরু করে বোমা-গুলিও চলে বলে অভিযোগ। ওই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মণ নামে দুই প্রাক্তন ছাত্রের। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে তাঁদের পরিবার এবং এলাকাবাসীর একাংশের আন্দোলনে প্রায় দু’মাস ধরে বন্ধ থাকে দাড়িভিট স্কুল। ওই মামলায় বুধবার হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, দুই যুবকের মৃত্যু মামলার তদন্ত সঠিক পথে এগোয়নি। ঘটনার ৫ দিন পরে সিআইডি তদন্তভার নেয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, কোনও শক্তিশালী আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়া হয়। অথচ সিআইডি এত দিনেও কোন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল তা শনাক্ত করতে পারেনি।

পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। যদিও পুলিশ ওই অভিযোগ অস্বীকার করে। ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকেও রিপোর্ট দিতে বলা হয়। এর আগে বিচারপতি মান্থা এ ব্যাপারে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘কমিশন জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে এতটাই ভরসা করেছে যে তাঁদের রিপোর্ট দেখেই দায়িত্ব শেষ করেছে। এতেই বোঝা যায় কমিশন কতটা উদাসীন ছিল।’’ পাশাপাশি, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। সেদিন উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কেন উপরের দিকে গুলি ছোড়েনি পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি মান্থা। আগের শুনানিতে তিনি জানিয়েছিলেন, এই তদন্তের গতিপ্রকৃতি বলছে বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নিজেদের রিপোর্ট রাজ্যকে দেবে। এ বার অতি সত্ত্বর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy