স্টিভ স্মিথ। বিসিসিআই-আইসিসি বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার। —ফাইল চিত্র।
বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রভাব নিয়ে বার বার মুখ খোলে পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো দেশের ক্রিকেট বোর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন ঘিরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে নিশানা করেছে পাকিস্তান। এই আবহে বিতর্ক উস্কে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরা। তাঁদের বেশির ভাগ ক্রিকেটারের মতে, ভারতীয় বোর্ড আইসিসির চেয়েও শক্তিশালী। তারাই বিশ্ব ক্রিকেট চালায়।
মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়ার কয়েক জন ক্রিকেটারকে ভারতীয় বোর্ড ও আইসিসিকে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছিল। জবাবে স্টিভ স্মিথ বলেন, “ভারতীয় বোর্ডে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় শক্তি। তুলনায় আইসিসির শক্তি কম।” ট্রেভিস হেড আবার বিসিসিআইকে ক্রিকেটের শাসক বলে উল্লেখ করেন। তাঁর কাছে আইসিসি শক্তিশালী। তবে শাসক ভারত। উসমান খোয়াজা, অ্যালেক্স ক্যারের মতো ক্রিকেটারেরাও ভারতীয় বোর্ডকে আইসিসির থেকে শক্তিশালী বলে উল্লেখ করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স অবশ্য বিসিসিআই ও আইসিসি দুই বোর্ডকেই শক্তিশালী বলে উল্লেখ করেছেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গত আর্থিক বছরে ভারতীয় বোর্ডের আয় ছিল ১৬,৪৯৩ কোটি টাকা। এ বার তা বেড়ে হয়েছে ২০,৬৮৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এক বছরে আয় বেড়েছে ৪২০০ কোটি টাকা। মূলত আইপিএল ও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়ের মিডিয়া স্বত্ব বিক্রি করে বেশি রোজগার হয়েছে বিসিসিআইয়ের। ২০২২ সালের জুন মাসে আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ব বিক্রি করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। পাঁচ বছরের জন্য ৪৮,৩৯০ কোটি টাকায় সেই স্বত্ব বিক্রি করা হয়েছে। বোর্ডের পরিকল্পনা ছিল, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ৭৪৭৬ কোটি টাকা রোজগার করবে। কিন্তু তা হয়েছে ৮৯৯৫ কোটি টাকা। বোর্ডের ফান্ডের পরিমাণও ৬৩৬৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৭৯৮৮ কোটি টাকা হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেটের বাজার ভারত। ক্রিকেট থেকে আইসিসি যে রোজগার করে তার বড় অংশ ভারত থেকে আসে। সেই কারণে, আইসিসির লাভের সিংহভাগ পায় ভারত। সেই কারণেই ধনী থেকে ধনীতর হচ্ছে এই বোর্ড। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতীয় বোর্ডের প্রভাব বেশি। গত বছর এশিয়া কাপের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ভারত পাকিস্তানে খেলতে যেতে আপত্তি করেছিল বলেই হাইব্রিড মডেল-এ প্রতিযোগিতা হয়েছিল। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্ষেত্রেও সেই একই ছবি। এই সব কারণেই পাকিস্তান বার বার ভারতীয় বোর্ডকে নিশানা করেছে। তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। সেই বিতর্ক আরও খানিকটা উস্কে গেল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের মন্তব্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy