Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Arrest

অংশীদারের সই জাল, সম্পত্তি ‘হাতিয়ে’ গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

শনিবার রাতে বেনিয়াপুকুর এলাকায় পেশায় প্রোমোটার মহম্মদ একরাম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করল নিউ মার্কেট থানার পুলিশ।

কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করল নিউ মার্কেট থানার পুলিশ। —প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:৫২
Share: Save:

নিজের ব্যবসার অংশীদারের সই জাল করে তাঁর এবং তাঁর তিন বোনের কোটি টাকার সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করল নিউ
মার্কেট থানার পুলিশ। ধৃতের নাম মহম্মদ একরাম হোসেন। তিনি কংগ্রেসের ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের জেনারেল সেক্রেটারি। তাঁর বাড়ি পার্ক স্ট্রিটে। শনিবার রাতে বেনিয়াপুকুর এলাকায় পেশায় প্রোমোটার একরামের অফিস থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার
কলকাতার সিজেএম আদালতের বিচারক বিশাখা চৌধুরী ধৃতকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন।

আদালত সূত্রের খবর, প্রোমোটার আব্দুল রহিমের সঙ্গে অংশীদারি ব্যবসা করতেন একরাম। অভিযোগ, আব্দুলের সই জাল করে ভুয়ো দলিল বানিয়ে তালতলা থানা এলাকায় আব্দুল এবং তাঁর তিন বোনের কোটি টাকার সম্পত্তি নিজের নামে দানপত্র করিয়ে নেন
একরাম। কলকাতা পুরসভায় তিনি তা জমাও দেন। এর পরে ওই সম্পত্তি থেকে তাঁকে বেদখল করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সিটি সিভিল কোর্টেও মামলা করেন একরাম। বিষয়টি জানতে পেরে একরামের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আব্দুল। আব্দুল ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি সানা আহমেদের স্বামী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে একরামকে।

এ দিন আদালতে সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রতারণার পিছনে আরও অনেকে রয়েছেন। তাঁদের খোঁজ পাওয়া দরকার।’’ তাই ধৃতকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর আর্জি জানান তিনি। একরামের আইনজীবী ইয়াসিন রহমান এবং বি এস চৌবে তাঁর মক্কেলকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়ার আর্জি জানিয়ে আদালতে বলেন, ‘‘অভিযোগকারী শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। তিনি পুলিশ-প্রশাসনে প্রভাব খাটিয়ে আব্দুলকে গ্রেফতার করিয়েছেন।’’

এ দিন আদালতে ছিলেন মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সুমন পাল, কংগ্রেসের মধ্য কলকাতার সাধারণ সম্পাদক সাদাব সিদ্দিকি-সহ দলের নেতা-কর্মীরা। আদালত চত্বরে সুমন অভিযোগ করেন, ‘‘আব্দুল আগে তৃণমূল করতেন। গত লোকসভা ভোটের সময়ে তিনি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাই রাজনৈতিক ভাবে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এর পিছনে রয়েছেন সানা আহমেদের স্বামী।’’ সানা পাল্টা বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। এটি আইন-আদালতের বিষয়। আর আমার স্বামী কোনও ধরনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

arrest Congress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy