শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
দল বদলের পরেই কি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে? প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার রাজ্যের উদ্দেশে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের প্রশ্ন, ‘‘শুভেন্দু যখন আপনাদের সঙ্গে ছিল তখন কি কোনও অপরাধ করেননি? দল বদলের পরেই অপরাধ বেড়ে গেল?’’
নানা অভিযোগে বিধানসভার বিরোধী তাঁর বিরুদ্ধে ২৭টি এফআইআর হয়েছে। এ নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। তিনি আদালতের কাছে রক্ষাকবচের আর্জি জানান। বুধবার ওই মামলার শুনানিতেই বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা নিয়ে প্রশ্ন তোলে হাই কোর্ট। যার উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি, ‘‘হতে পারে তখন শুভেন্দু শৃঙ্খলাপরায়ণ ছিলেন। বিজেপিতে যাওয়ার পরে অন্যায় করছেন। তা ছাড়া কেউ এখন অপরাধ করেননি বলে পরেও করবেন না, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই।’’ পাল্টা রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি সেনগুপ্তের বক্তব্য, ‘‘এটাও হতে পারে যে আপনারা তখন (শুভেন্দুকে) আড়াল করেছিলেন। না হলে তৃণমূলে থাকাকালীন মাত্র একটি এফআইআর আর তৃণমূল ছাড়ার দু’বছরের মাথায় ২৭টি অভিযোগে এফআইআর দায়ের হল! এটা তো আপনাদের বিপক্ষে যেতে পারে!’’
মামলার শুনানিতে আইনজীবী কল্যাণ সওয়াল করেন, ‘‘বিরোধী শিবিরে চলে গিয়েছেন মানে কোনও পদক্ষেপ নয়, এই যুক্তিও গ্রহণযোগ্য নয়।’’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, “শুভেন্দু যদি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে পাঁচটি জায়গায় গিয়ে পাঁচ বার গন্ডগোল করেন, তা হলে রাজ্য কি কোনও পদক্ষেপ করবে না?’’ তার পরে বিচারপতি সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ, ‘‘কারও বিরুদ্ধে এত অল্প সময়ের মধ্যে এত অভিযোগ আনা হলে তাঁকে তো অপরাধী বলতে হবে।’’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর।
গত বছর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চের তরফে আইনি রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৬টি এফআইআরের উপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। সেই সঙ্গে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও এফআইআর করার আগে আদালতের কাছ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় বিচারপতি মান্থার একক বেঞ্চ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু শীর্ষ আদালত আবার হাই কোর্টেই ফিরিয়ে দেয় ওই মামলা। তার মধ্যে নতুন করে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন সুমন সিংহ নামে এক আইনজীবী। জুলাই মাসে মামলাটি শোনে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। তার পর আদালত নির্দেশ দেয় বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করতে গেলে আদালতের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে এফআইআর করার ক্ষেত্রে আগে থেকে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। শুধুমাত্র বিরোধী দলনেতাকে হেনস্থা করার উদ্দেশ্যে যেন এফআইআর না করা হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy