‘ইন্ডিয়া বনাম ভারত’ ভারত বিতর্কের আবহে এ বার আরজেডি প্রধান তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদের একটি পুরনো মন্তব্যের ভিডিয়ো নিয়ে চর্চা শুরু হল সামাজিক মাধ্যমে। কয়েক বছরের পুরনো ওই ভিডিয়োয় লালুর মন্তব্য, ‘‘দিল্লি তো ইন্ডিয়া, এটা (বিহার) ভারত।’’ পটনার সরকারি বাংলোয় এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লালুকে বলতে শোনা যাচ্ছে— ‘‘আমরা ভারতের লোক। নিমের দাঁতন করি।’’
নিমের ডালে দাঁতন করলে দাঁত এবং শরীর ভাল থাকে জানিয়ে লালু জানান পটনায় থাকলে তিনি দাঁতন ব্যবহার করেন। কিন্তু দিল্লিতে থাকলে বাধ্য হয়ে টুথব্রাশ ব্যবহার করতে হয়। তিনি বলেন, ‘‘এখানে (পটনায়) থাকলে আমি দাঁতন ব্যবহার করি। দিল্লি তো ‘ইন্ডিয়া’ সেখানে দাঁতনের ডাল পাওয়া যায় না। এটা ভারত, এখানে পাওয়া যায়।’’ নিম ছাড়াও আম এবং চিরতার দাঁতন ব্যবহার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে জি২০ শীর্ষবৈঠকে অংশ নেওয়া বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ্যে আসার পরেই জল্পনা শুরু হয়, লোকসভা ভোটের আগে দেশের নাম শুধুই ‘ভারত’ করতে চলেছে মোদী সরকার। রাষ্ট্রপতির ওই আমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। কিন্তু ভারতের রাষ্ট্রপতি কাউকে কোনও চিঠি লিখলে তাতে চিরাচরিত ভাবে লেখা থাকে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ কথাটি। এ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল পাশের জন্যই আগামী ১৮-২২ ডিসেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে বলেও জল্পনা দানা বাঁধে। যদিও এখনও সরকারি ভাবে এ বিষয়ে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন:
ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার রাতেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর আসন্ন ইন্দোনেশিয়া সফরের সূচি এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) প্রকাশ করেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। সেখানে মোদীর পদ লেখা হয়েছে, ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’। যদিও সরকারি প্রথা অনুযায়ী তাঁর পদটিকে ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ইন্ডিয়া’ লেখা হয়। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর মোদী ইন্দোনেশিয়ায় যাবেন ২০তম ‘আশিয়ান-ইন্ডিয়া শীর্ষ সম্মেলনে’ যোগ দিতে। সরকারি নথিতে অবশ্য ওই সম্মেলনের নামের ক্ষেত্রে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক বিভ্রাট এড়াতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সরকারি ভাবে এখনও এ বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।