—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারের সেই ১৬টি ফাইলে কী আছে? আদালতে রিপোর্ট দিয়ে তা জানাল কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (সিএফএসএল)। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেবে তারা। তার জন্য আরও কিছুদিন সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল ১৬টি ফাইলের তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে। তাদের আবেদন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চ। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে ওই দিনই।
নিয়োগ মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলিতে তল্লাশি চালাতে গিয়েই লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসে হাজির হয়েছিল ইডি। তারা দীর্ঘ সময় ধরে ওই সংস্থায় তল্লাশি চালায়। ইডি চলে যাওয়ার পর সংস্থার এক কর্মী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, তাঁদের কম্পিউটারে ১৬টি অচেনা ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছে। ইডি আধিকারিকেরা ওই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করছিলেন, তার পরেই এই ফাইলগুলি ডাউনলোড হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনায় সরাসরি লালবাজারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চন্দন।
এর পর ইডির তরফে লালবাজার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, তাদেরই এক আধিকারিক ভুলবশত ওই ফাইল ডাউনলোড করেছেন। তিনি সংস্থার কম্পিউটারে নিজের কন্যার কলেজের হস্টেল সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। তখনই কোনও ভাবে ফাইলগুলি ডাউনলোড হয়ে গিয়েছিল বলে জানায় ইডি। এর পর লালবাজার থেকে ইডিকে তলব করা হয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়ে দেয়, নতুন করে তাদের আর কিছু বলার নেই।
মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ালে ইডির তরফে হাই কোর্টে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছিল, এই ১৬টি ফাইল তারা তদন্তের কাজে ব্যবহার করবে না।
হাই কোর্টই এই ১৬টি ফাইল দেখতে চেয়েছিল। সিএফএসএল-কে ফাইলগুলি খতিয়ে দেখে তাতে কী আছে, জানাতে বলেছিলেন বিচারপতি ঘোষ।
নিয়োগ মামলা থেকে নিষ্কৃতি চেয়ে অভিষেক আগেই হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার শুনানি শেষ হয় মঙ্গলবারই। বিচারপতি রায় ঘোষণার আগে ওই একই মামলার মধ্যে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে নতুন আবেদন করেন অভিষেক। এতে বিচারপতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। নতুন আবেদনের সঙ্গে সেই মামলার মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় আলাদা মামলা করলেই তো হত।’’ এ প্রসঙ্গে অভিষেকের আইনজীবীর যুক্তি, ওই মামলায় রায় ঘোষণার আগে ইডির তল্লাশি অভিযান চলেছে। সেই কারণে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy