প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গি-সহ একাধিক মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে বছরভর চলে প্রচার। তবু সচেতনতার হাল ফেরে না। পরিদর্শনে গিয়ে কোনও বাড়িতে জল জমে রয়েছে বলে দেখা যায়, কোথাও আবার আবর্জনায় জল জমে তৈরি হয়েছে মশার আঁতুড়ঘর। তাই বাসিন্দাদের সচেতন করতে আরও জোরদার ভাবে প্রচারে নামতে চাইছে বিধাননগর পুরসভা।
পুরসভা সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে কাউন্সিলরদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, এ বার প্রতিটি ওয়ার্ডে আলাদা আলাদা ভাবে লাগাতার এক সপ্তাহ ধরে প্রচারের কাজ করা হবে। সাধারণত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গি নিয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করা ছাড়াও এলাকায় লিফলেট, ব্যানার, হোর্ডিং দিয়ে প্রচার করা হয়। মাইকে ঘোষণাও হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কোনও ওয়ার্ড থেকে প্রচারের কাজ শুরু হয়ে ফের সেই ওয়ার্ডে প্রচারের মধ্যে ২০-৩০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে। কারণ, পর্যাপ্ত সংখ্যক পুর কর্মী এবং অর্থের অভাব। এ বার তাই প্রতিটি ওয়ার্ডে একই সঙ্গে প্রচার করার পরিকল্পনা করেছে পুরসভা। জোর দেওয়া হয়েছে অটো নিয়ে নিয়মিত মাইকে প্রচারের দিকে। তার জন্য ওয়ার্ডপিছু বরাদ্দ হয়েছে ৫ হাজার টাকা।
গত জানুয়ারি থেকে অগস্টের শেষ পর্যন্ত পুর এলাকায় ১০৩ জন জ্বরে আক্রান্ত হন। শুধু অগস্টেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ জন। এই পরিসংখ্যান ভাবিয়ে তুলেছে পুরসভাকে। উপরন্তু রাজারহাটে এক তরুণীর মৃত্যুতে ভাবিয়ে তুলেছে পুর প্রশাসনকে। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, বাসিন্দাদের একাংশের এখনও হুঁশ ফিরছে না। রাজারহাট-গোপালপুর এলাকা থেকে সল্টলেকে অনেক জায়গাতেই জমা জল আর মশার লার্ভা মিলেছে। তাই বেশি করে সচেতনতার প্রচারে জোর দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy